গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিন র্যাংকিংয়ে ‘ডি’ গ্রেডে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল ফাইন্যান্স ম্যাগাজিনের র্যাংকিংয়ে গভর্নর হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ‘ডি গ্রেড’ পেয়েছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গভর্নরদের গ্রেডিং করে আসছে এ ম্যাগাজিনটি। দেউলিয়াত্ব ও মূল্যস্ফীতিসহ ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কার গভর্নর নন্দলাল বীরাসিংহে পেয়েছেন ‘এ মাইনাস’ গ্রেড।
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, স্থানীয় মুদ্রার বিনিময় হারের সুরক্ষা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সুসংহত করার মতো বিষয়গুলোর ওপর ভিত্তি করেই এই গ্রেডিং করে থাকে এ ম্যাগাজিনটি।
ম্যাগাজিনটির ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্যমতে, প্রতিবেশি দেশ ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ ‘এ প্লাস’ গ্রেড পেয়েছেন। এটিই ম্যাগাজিনটির ‘সেন্ট্রাল ব্যাংকার রিপোর্ট কার্ড’-এর সর্বোচ্চ গ্রেড। আরও এ+ পেয়েছেন সুইজারল্যান্ড ও ভিয়েতনামের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর।
দেউলিয়াত্ব ও মূল্যস্ফীতিসহ ভয়ঙ্কর অর্থনৈতিক সংকটে পড়া শ্রীলঙ্কার গভর্নর নন্দলাল বীরাসিংহে পেয়েছেন ‘এ মাইনাস’ গ্রেড। দেশটিকে সংকট থেকে তুলে আনতে তার ভূমিকার কথা বলা হয়েছে ওই রিপোর্ট কার্ডে।
১০১টি গুরুত্বপূর্ণ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের সর্বশেষ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, প্রতিবেশী নেপালের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর মহাপ্রসাদ অধিকারী পেয়েছেন ‘বি মাইনাস’ গ্রেড আর পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর জামিল আহমদ পেয়েছেন ‘সি মাইনাস’।
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, কোভিড-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ছিল পাঁচ দশমিক ছয় শতাংশ। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে টাকার অবমূল্যায়ন হয় সাড়ে নয় শতাংশ।
ডলার সংকটে হিমশিম খেতে থাকেন পণ্য আমদানিকারকরা। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি ও খাদ্যমূল্য ব্যাপক মাত্রায় বাড়তে থাকে। মূল্যস্ফীতিও হয়ে ওঠে লাগামহীন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা কমতে থাকায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঠামোগত দুর্বলতা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সরকারের ৬০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণের কারণে মূল্যস্ফীতির মতো বাহ্যিক ধাক্কার মুখে নাজুক অবস্থানে পড়ে যায় বাংলাদেশ।