আ.লীগ জুলুম নির্যাতন করায় নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে ভয় পায় : মঈন খান
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। এ সরকার বলে দিচ্ছি, সেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে মানুষের ভালোবাসায় বিজয়ী হলে আওয়ামী লীগকে অভিনন্দন জানাব। কিন্তু আওয়ামী লীগ জানে তারা ১৫ বছর ধরে দেশে অপকর্ম, জুলুম ও নির্যাতন করেছে। তারা শুধু জনগণের ঘৃণা পেয়েছে। সেই কারণে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে তারা ভয় পায়।’
আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড পাসপোর্ট অফিসের পাশে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আব্দুল মঈন খান এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কাজী মনিরুজ্জামান মনির, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানসহ অনেকে।
ড. মঈন খান আরও বলেন, এই সরকার বাংলাদেশে মেগা উন্নয়নের নামে মেঘা দুর্নীতি করেছে। সরকার মিথ্যা টাকা ছাপিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বেহাল অবস্থা করেছে। মূল্যস্ফীতি এবং মুদ্রানীতির অত্যাচার ও জুলুমে আজকে বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।
এ দেশে ৪২ মিলিয়ন ডলার মুদ্রা সঞ্চয় করা হয়েছিল। আজকে সেই সঞ্চয় অর্ধেকে নেমে এসে ২১ মিলিয়ন ডলার কেন হয়েছে—তার জবাব সরকারকে দিতে হবে মন্তব্য করে ড. মঈন খান বলেন, বাকি ২১ মিলিয়ন ডলার কোথায় গেল? দেশ-বিদেশের সুশাসনে যারা বিশ্বাস করে তারা এই সরকারকে এই প্রশ্নগুলো জিজ্ঞেস করতে শুরু করেছে। সঞ্চয় লুটপাট করে এই সরকার ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে আইএমএফের কাছে যেতে বাধ্য হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ডকে ধ্বংস করে দিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষ।
এর আগে সকাল থেকেই সমাবেশস্থলে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি উপজেলা ও মহানগর থেকে ছাত্রদল, যুবদল, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও বিএনপি খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে আসতে থাকে। তাদের স্লোগানে ছিল বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বৈরাচারী করে কোনো সরকারই ক্ষমতায় থাকতে পারে না। এই সরকারেরও পতন হবে। এ সময় বক্তারা সরকার দলকে ৩৬ ঘণ্টা সময় দিয়ে পুলিশ ও র্যাব ছাড়া খেলতে মাঠে নামার আহ্বান জানান। সরকারি দলের লোকেরা যেখানে খেলতে চান সেখানেই খেলা হবে বলেও মন্তব্য করেন তাঁরা।