আ.লীগনেতারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছেন : প্রিন্স
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগনেতারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছেন, ওনাদের ক্যাপ্টেন আমেরিকা থেকে ফিরলে না কি ওনারা খেলবেন। তাঁরা যোগ্য প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলতে ভয় পান বলে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন।’ আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এক দফা দাবিতে ময়মনসিংহে আগামী ১ অক্টোবরের রোড মার্চ সফল করতে আজ সকালে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা, মহানগর ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পৃথক পৃথক প্রস্তুতি সভা করেন সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। এরপর শম্ভুগঞ্জ, গৌরীপুর, ঈশ্বরগঞ্জে লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন তিনি।
সরকার দমন-নিপীড়ন করে বিএনপিকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে রাখতে চাচ্ছে মন্তব্য করে প্রিন্স বলেন, ফাঁকা মাঠে গোল দিতে মাঠকে অসমতল করে পক্ষপাতদুষ্ট রেফারি নিয়ে খেলতে চায় তারা।
আওয়ামী লীগনেতাদের উদ্দেশ্যে প্রিন্স বলেন, মাঠ সমতল ও খেলার উপযোগী করে, সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করে নিরপেক্ষ রেফারি নিয়ে আসেন—বিএনপি নির্বাচনি ও রাজনীতির খেলায় নিশ্চিত বিজয়ী হবে।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সরকারের ভোট চুরির ষড়যন্ত্র শুধু দেশবাসীর কাছেই নয়, বিশ্ববাসীর কাছেও ধরা পড়েছে। শুধু ভোট চুরি নয়, সরকারের দুর্নীতি, লুটপাটসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ, গণমাধ্যম, ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ ও দলীয়করণও ধরা পড়েছে বলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলো এ বিষয়ে সোচ্চার হয়েছে।
আওয়ামী লীগ অনৈতিকভাবে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে রাষ্ট্র কাঠামো ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে মন্তব্য করে প্রিন্স বলেন, গণআন্দোলনে সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করে জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামত করা হবে।
আন্দোলনে ভীত হয়ে আওয়ামী লীগনেতারা সন্ত্রাসের ভাষায় কথা বলছেন মন্তব্য করে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, প্রকাশ্যে মাস্তানি কায়দায় হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। এসব আপনাদের নারভাসনেসের বহিঃপ্রকাশ।
প্রস্তুতি সভায় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, আলমগীর মাহমুদ আলম, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ, অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য শাহ নুরুল কবীর শাহীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।