দাওয়াত না পাওয়ায় ছাত্রলীগনেতার কাণ্ড!
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল ইসলাম রাসেলের বিরুদ্ধে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের নিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে। ফুটবল খেলায় দাওয়াত না পাওয়ায় এমন ঘটনা, বলছে অভিযোগ। গত মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর)ইকবাল রোডের এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এর পরদিন বুধবার বিকেলে ভুক্তভোগীরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আজিজুল হক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে এমন একটি অভিযোগের কথা আমি গতকাল শুনেছিলাম। এ অভিযোগ নিয়ে থানায় গিয়েছিলেন কেউ কেউ। তবে, জিডি হয়েছে কি না, আমি জানি না। জেনে জানাতে হবে।’
১০ মিনিট পর আবার এসিকে কল দেওয়া হলে তিনি বলেন, ‘ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি। সম্ভবত জিডি হয়নি। ভালো হয়, সন্ধ্যার পর কল দিলে।’
এর আগে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক ভূঞা এবং পরিদর্শক (তদন্ত) সজিব কুমার সাহার সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিক বার চেষ্টার পরও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।
পরে থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. তোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না। আমি একটা স্পেশাল অপারেশনে গেছিলাম। আজ দুপুরে ফিরেছি।’
অভিযোগসূত্র বলছে, ওই ঘটনায় আহতরা নিয়ামত উল্লাহ নিশাত (৩২), মাহদী শিমুল (৩০), মাহমুদুল হাসান (৩০) ও রাজুসহ (২৮) অনেকে আহত হয়েছেন।
আরেক ভুক্তভোগী নিয়ামত উল্লাহ নিশাতসহ অন্যান্য ভুক্তভোগীরা জানান, মঙ্গলবার খেলা শেষে আমরা সন্ধ্যার পর ইকবাল রোডে ভার্সিটির সামনে সবাই বসে কথা বলছেলেন। এ সময় হঠাৎ করে রাম দা, চাপাতি ও দেশিয় অস্ত্রশস্ত্রসহ ৬০ থেকে ৭০ জনের কিশোর গ্যাংয়ের একটি দল তাদের ওপর আতর্কিত হামলা চালায়। এতে অনেকে আহত হন। এ সময় তাদের সহপাঠী রাজুকে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ছাত্রলীগের সভাপতির টাউনহল অফিসে তুলে নিয়ে প্রচুর মারধর করে। পিস্তল দেখিয়ে হুমকি দেয়।
মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন আকাশ একই অভিযোগ করেন।
আহত রাজু বলেন, ভার্সিটিতে ফুটবল খেলার দায়িত্বে ছিলাম। খেলা শেষে আমরা সবাই সন্ধ্যার পর ক্যাম্পাসের সামনে আসছিলাম। এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি এবং তার কয়েকজন সহযোগীকে দিয়ে আমাকে ফোন দিয়ে তার অফিসে তখনই দেখা করতে বলেন। কিছুক্ষণ পর বিষয়টি আমি ভার্সিটির কয়েকজনকে জানানোর পর দেখি ২০ থেকে ২৫ জন লোক হাতে রাম দা, চাপাতিসহ এসে আমাকে ঘেরাও করে ধরে। এ সময় তারা আমার দুই হাত ও ঘাড় এবং শার্টের কলার ধরে টেনে হেঁছড়ে টাউন হলের ছাত্রলীগের সভাপতির অফিসে নিয়ে যায়। এ সময় ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেল আমাকে মারধর করে এবং পিস্তল দেখিয়ে হুমকি দেয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল ইসলাম রাসেলের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টার পরও বন্ধ পাওয়া গেছে। খুদে বার্তা পাঠানো হয়েছে, তবে তার কোনো উত্তর আসেনি। যদিও এর আগে তিনি গণমাধ্যমকে জানান, তিনি অসুস্থ হয়ে বাসায় আছেন। তাকে কেউ এই ঘটনায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।