ময়মনসিংহে বিএনপির রোডমার্চে হামলা-ভাঙচুর
বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় রোডমার্চে যুবদলের গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সশস্ত্র হামলায় কয়েকটি মোটরসাইকেলসহ সাতটি প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে জানিয়েছেন যুবদল নেতাকর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ হামলা করেছেন। আজ রোববার (১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মার্কাজ মসজিদ সংলগ্ন পেট্রল পাম্পের সামনে এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুরে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে তাদের নাম জানা যায়নি।
এ সময় যুবদল নেতাকর্মীরা গাড়ি থেকে নেমে হামলাকারীদের প্রতিরোধ করলে তারা পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
আজ সন্ধ্যা ৭টায় টুকু বলেন, ‘গাড়িবহরের পেছন থেকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে। এ সময় গাড়ি থেকে নেমে আমাদের নেতাকর্মীরা ধাওয়া করলে পালিয়ে যায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা।’
টুকু আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গনতন্ত্রবিরোধী সন্ত্রাসী দল। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের হামলায় তা আবারও প্রমাণ হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি করছি। অন্যথায় রাজপথে এ ঘটনার কঠোর জবাব দেওয়া হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পীরজাদা মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর হয়েছে। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
এদিকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন রোডমার্চে সমন্বয়ক ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স এবং ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু ওয়াহাব আকন্দ। পৃথক বিবৃতিতে নেতারা এই ঘটনায় জড়িত হামলাকারীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
হামলার বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম বলেন, ‘গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে বিএনপি শান্তিপূর্ণ ভাবে রোডমার্চ করছে, আমরা এটাকে স্বাগত জানাই। তবে যে বা যারাই হামলা করে থাকুক, এটা দুঃখজনক।’