‘খালেদা জিয়া চাইলে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারবেন’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী। আজ সোমবার (২ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেলের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে হলে বিএনপি চেয়ারপারসনকে আপিল বিভাগে আবেদন করতে হবে। রাষ্ট্রপতির কাছেও আবেদন করতে পারবেন।’
মেহেদী হাসান চৌধুরী বলেন, ‘যেহেতু ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার আলোকে আবেদনটিতে আগেই খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করা হয়েছিল। এ কারণে অন্য কোনো আদেশ দেওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। এখন তাকে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে যেতে হবে। জেলখানায় যাওয়ার পরে তিনি জামিন আবেদন এবং বিদেশে চিকিৎসার জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করতে পারেন। কারণ, সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল পেন্ডিং রয়েছে। এ ছাড়া খালেদা জিয়া তার দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছেও আবেদন করতে পারেন।’
গত ৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি খালেদা জিয়া। ৭৮ বছর বয়সি এই নেত্রী ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, কিডনি ও লিভার জটিলতায় ভুগছেন। তার লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য বিদেশ নেয়া জরুরি বলে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সাজা হয়। সেদিন থেকে কারাবন্দি তিনি। পরে হাইকোর্টে এ সাজা বেড়ে ১০ বছর হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার আরও সাত বছরের সাজা হয়।
২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। এরপর প্রতি ছয় মাস পরপর তার মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার। সবশেষ ১২ সেপ্টেম্বর সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।