খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে হাইকোর্ট দেখানো হচ্ছে কেন, প্রশ্ন অলি আহমদের
রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে গিয়ে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়া হয়নি। সরকার থেকে বলা হচ্ছে, বিদেশে যেতে হলে আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে। তবে, নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর বিক্রম)। পাশাপাশি বিএনপি চেয়ারপারসনকে হাইকোর্ট দেখানো হচ্ছে কেন, এই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি।
আজ সোমবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর পান্থপথে এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে অলি আহমদ এই প্রশ্ন করেন।
উদাহরণ টেনে এলডিপি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে জেল থেকে বের হয়ে সরকারের নির্বাহী আদেশে কানের চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে জাসদের এক নেতাকে জেল থেকে সরাসরি নির্বাহী আদেশে জার্মানিতে পাঠানো হয়। তাহলে, খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে এতো ধরণের হাইকোর্ট দেখানো হচ্ছে কেন? তাকেও নির্বাহী আদেশে পাঠানো সম্ভব।’
এই রাজনীতিক বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠাতে প্রয়োজন সরকারের স্বদিচ্ছা। আশা করি, সরকার নতুনভাবে তিক্ততা সৃষ্টি করবে না। তাকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দেবে। অক্টোবরের পর সরকার হয়তো এই সুযোগ হারাতে পারে। দেশের অবস্থা মোটেই ভালো নয়।’
দেশের মানুষ কঠিন সময় পার করছে জানিয়ে অলি আহমদ বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অপশাসন, দুর্নীতি ও ন্যায়বিচারহীনতার কারণে বিভিন্ন সমস্যাগুলো অধিকতর জটিল আকার ধারণ করছে। বিশেষ করে সরকারের একগুঁয়েমি মনোভাব অনেক মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে। দেশের বর্তমান সামাজিক নিরাপত্তার অবস্থা করুন।’
এলডিপির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহে আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুল আলম তালুকদার, নেয়ামূল বশির, আওরঙ্গজেব বেলাল, অ্যাডভোকেট এস এম মোরশেদ, অধ্যক্ষ সাকলায়েন, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, অধ্যাপক কারিমা খাতুন, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম, প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিলু, প্রকাশনা সম্পাদক মেহেদী হাসান মাহবুব, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আলী আজগর বাবু প্রমুখ।