নীতি নির্ধারণে সঠিক জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন তথ্য অতি গুরুত্বপূর্ণ : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, ‘যেকোনো জাতির সঠিক জনসংখ্যা নির্ধারণ অতি গুরুত্বপূর্ণ। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবার মাধ্যমেই আমরা সেই তথ্যটা জানতে পারি। শুধু মোট জনসংখ্যা জানাই যথেষ্ট নয়, বিভিন্ন বয়সের শ্রেণি-বিভাগ ও তথ্য-উপাত্ত জানা জরুরি। যেকোনো নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোন ধরনের মানুষের জন্য সেই নীতি নেওয়া হচ্ছে, কোন বয়সের মানুষের জন্য এবং কত সংখ্যক মানুষের জন্য নেওয়া হচ্ছে, সেই তথ্য অতি গুরুত্বপূর্ণ।’
আজ শুক্রবার (৬ অক্টোবর) ঢাকায় এক হোটেলে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন জরুরি কারণ বয়স্ক মানুষের চাহিদা ও যুবকদের চাহিদা এক নয়, আবার যুবকদের চাহিদা আর শিশু-কিশোরদের চাহিদা এক নয়। নানা বয়স, ধর্ম-বর্ণের মানুষের চাহিদা শনাক্তকরণ এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন তথ্যই সরকারের প্রয়োজন হয়।’
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী এ সময় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা স্বীকার করে বলেনন, ‘সমস্যাগুলো চিহ্নিত হয়েছে এখন দ্রুত এই সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদেরকে নিয়ে কাজ শুরু করা হবে।’
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য যে লড়াই করে গেছেন, তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সেই লক্ষ্য পূরণে অবিরাম এগিয়ে চলেছে। অনেক পথেই আমাদের যাত্রার অভিজ্ঞতা নতুন তাই হয়তো জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে প্রত্যাশিত সেবায় ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে, কিন্তু সেই সমস্যাগুলো সমাধান করে আমাদেরকে নাগরিক সেবায় ভোগান্তি দূর করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. শামসুল আরেফিন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. রাশেদুল হাসান, ইউনিসেফের চিফ অব চাইল্ড প্রটেকশন নাটালি ম্যাককলি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম।
এর আগে এদিন সকালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস উদযাপন উপলক্ষে চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘আজকের শিশুরাই ভবিষ্যতের বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে এবং বঙ্গবন্ধুর সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।’
চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিশু-কিশোরদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য যে পথনকশা তৈরি করেছেন ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ কিংবা ২১০০ সালের মধ্যে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন, এসবের সুফল পাবে আজকের শিশুরা।’
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন এবং এতে সভাপতিত্ব করেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের মহাসচিব কে এম শহিদ উল্যা।