খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘আবহমানকাল ধরেই বাংলাদেশের মানুষ অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করে আসছে।’ আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টাবর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আবহমানকাল ধরেই বাংলাদেশের মানুষ যার যার ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করে আসছে। নিজেদের ধর্মের প্রতি সম্মান পেতে হলে অন্যের ধর্মক্ওে সম্মান করতে হব।’

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণির মানুষ অঘটন ঘটিয়ে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার সুযোগ তৈরি করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে ওই সুযোগ সন্ধানী মহল সুযোগ খুঁজতে থাকবে। তাই সবাইকে পূজাকেন্দ্রিক সব ধরনের গুজব থেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কিছু লোক ষড়যন্ত্রমূলক অঘটন ঘটিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলে সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে তৎপর থাকবে। এটি একটি শান্তিপূর্ণ জেলা। সেই শান্তি অব্যাহত রাখতে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’   

জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলার সভাপতিত্বে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় দুর্গাপূজা সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, সৌহার্দ্যপূর্ণ ও  উৎসবমুখর পরিবেশে  অনুষ্ঠানে বক্তারা করণীয় এবং পরামর্শ মূলক বক্তব্য দেন। 

সভায় আরও বক্তব্য দেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, সিভিল সার্জন ডা. আবু হেনা মো. রায়হানুজ্জামান সরকার, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রস্টের ট্রাস্টি স্বপন কুমার,  সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম, জাতীয়  গোয়েন্দা সংস্থার উপপরিচালক মানিক কুমার দে, পৌর মেয়র মো. নজমুল হক সনি, ২৬ বিজিবির সহকারী পরিচালক তফসির আহমেদ, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. লোকমান হোসেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. কায়েস উদ্দিন, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিভাস চন্দ্র মজুমদার, সদর উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মাধব কর্মকার, পৌর কমিটির সভাপতি পীযূষ কান্তি সরকার, মহাদেবপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি অজিত চন্দ্র মণ্ডল, রানীনগর উপজেলা কমিটির সভাপতি চন্দন কুমার মহন্ত প্রমুখ।