আমরা অর্থ নয়, পূর্ণ সমর্থন চাই : ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
বাংলাদেশের মানুষের আন্তরিক সমর্থনের প্রশংসা করে ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এসওয়াই রামাদান বলেছেন, তাদের পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি প্রয়োজন। ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা ইসরায়েলকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ঢাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন দেশটির রাষ্ট্রদূত। এর আগে দূতাবাসে আসেন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) সদস্য রাষ্ট্রের ১৫ জন রাষ্ট্রদূত এবং চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স।
রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এসওয়াই রামাদান বলেন, ‘বিশ্বাস করুন, আমরা আপনার অর্থ চাই না, তবে আপনার পূর্ণ সমর্থন ও সংহতি চাই। ফিলিস্তিন চায়, বিশ্ব ফিলিস্তিনের পাশে থাকুক। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধ করতে হবে। এটা অগ্রহণযোগ্য।’
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশি ভাই-বোনদের ভালোবাসা, সমর্থন ও শ্রদ্ধা দেখে আমি অভিভূত হয়েছি। আমরা আশা করি, বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার সবসময় আমাদের পাশে থাকবে।’
জাতিসংঘের মানবাধিকার কর্মীরা সতর্ক করেছে, গাজায় খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ ও জরুরি সরবরাহের অভাব দেখা দিয়েছে। অবরুদ্ধ গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার জন্য বাইরে থেকে কোনো সহায়তা আসতে পারে না এবং প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ পরিচালিত স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
মানবতাবাদীরা গাজার জনগণকে যথাসাধ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, ইউএনআরডব্লিউএ’র সঙ্গে মিলে তারা বুধবার (১১ অক্টোবর) ৮৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে এক লাখ ৭৫ হাজারেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের কাছে রুটি ও খাবার পৌঁছে দিয়েছে।