নাশকতার মামলায় কারাগারে দুলু, ১১ আসামি দুদিনের রিমান্ডে
সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। নাশকতার মামলায় কারাগারে পাঠানো হয় তাকে। পাশাপাশি একই মামলার অপর ১১ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আলী হায়দার আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) এসব আদেশ দেন।
রাজধানী বাড্ডা থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় আজ আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। বিএনপির নেতা দুলুকে কারাগারে আটক ও অপর ১১ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রিপন উদ্দিন। অপরদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দুলুর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এ ছাড়া অন্য ১১ আসামির দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- ভোলা যুবদলের সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন, আবির ইসলাম সাত্তার, মো. তাজ মোহাম্মদ খান মামুন, মো. শিমুল বিশ্বাস, মো. সোহেল, মো. মোস্তাক হোসেন মুন্না, আব্দুল মান্নান শেখ বাবু, মাকসুদুর রহমান, গোলাম মোস্তফা ও শাহীনুর রহমান।
রিমান্ডের আবেদনে বলা হয়, গত ১৭ অক্টোবর বাড্ডা থানার আওতাধীন বৈঠাখালী ৩০ ফিট রাস্তার মাথায় গ্রিন টাওয়ারের নিচ তলায় কিছু সংখ্যক লোক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য সমবেত হয়েছে এমন খবরে অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার মাহবুব হক সজিব মামলার বাদী ও ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করেন। রাত ৭টা ৫৫ মিনিটে ওই স্থানে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
এতে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হন।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, ঘটনাস্থলে তারা অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর আহ্বানে সমবেত হয়েছিল।