‘ডাক্তার বলেছে আমি আর চার বছর বাঁচব,’ শুনানিতে দুলু
সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। নাশকতার মামলায় কারাগারে পাঠানো হয় তাকে।
আজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার এই আদেশ দেন। এদিন ঢাকার সিএমএম আদালতে সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী, নাটোর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপরে তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে পুলিশ। অপরদিকে দুলুর আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
জামিন আবেদনের উপর শুনানির সময় দুলুর আইনজীবী মো. বোরহান উদ্দিন আদালতে বলেন, দুলু অসুস্থ, তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। কেমো নিতে বিদেশে যাবেন। তার অবস্থা খুব খারাপ। তাকে জামিন দিন। বেঁচে থাকলে তার বিচার হবে। অপর আসামিদের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন আইনজীবীরা।
এরপর আইনজীবীরা আদালতকে বলেন, দুলু সাহেব কিছু কথা বলবেন। এরপর রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু আদালতকে বলেন, ‘আমি ক্যানসারের রোগী। অনেক অসুস্থ। এক বছর ধরে কেমো নিচ্ছি। এক মাস পরপর কেমো নিতে হয়। যে মেডিসিন নিতে হয় তা আমেরিকা থেকে ভারত হয়ে আনতে হয়। গত ৩ অক্টোবর কেমো নেওয়ার ডেট ছিল। কেমো না আসায় গত তারিখে নিতে পারিনি। অনেক টাকা লাগে। টাকাও ম্যানেজ করতে পারিনি। এখন ম্যানেজ করেছি। কিন্তু এর মাঝে আমাকে গ্রেপ্তার করেছে।’ তিনি বলেন, ‘জন্ম-মৃত্যু আল্লাহর হাতে। ডাক্তার আমাকে বলেছে আমি চার বছর বাঁচব। এর মধ্যে এক বছর চলে গেছে। আপনার কাছে আমার আবেদন, শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে আমাকে জামিন দিন। পুলিশ দেখছে আমি অসুস্থ। এ কারণে তারা রিমান্ডও চায়নি।’
তখন বিচারক জানতে চান, ক্যানসারের রোগী হয়ে সভা-সমাবেশে যোগ দেন কীভাবে? এ সময় তার আইনজীবীরা কথা বলেন। তারা তার জামিন মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন।