ফিলিস্তিনে আহত নারী-শিশুর জন্য ওষুধ-খাবার পাঠাবে বাংলাদেশ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইসরায়েলি হামলায় আহত ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুর জন্য ওষুধ, শুকনো খাবার এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠানোর পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশ। ‘ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বাংলাদেশ পাশে থাকবে’ উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেছেন, তাদের ওপর বারবার হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এই হামলায় হতাহত শিশুদের মুখোচ্ছবি অসহনীয়।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার সড়ক ভবনে একযোগে ৩৯ জেলায় ১৫০টি সেতু এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নবনির্মিত ১৪টি ওভারপাস উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। একইসঙ্গে তিনি নিহত ফিলিস্তিনিদের স্মরণে আগামী শনিবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের ঘোষণা দেন। তার আগের দিন শুক্রবার সারা দেশের সব মসজিদে জুমা ও অন্যান্য নামাজের পর দোয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ঢাকায় অবস্থিত ওআইসি সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বুধবারের বৈঠকের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি রাষ্ট্রদূতদের বলেছেন—ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরাও তাদের সঙ্গে আছি। আমাদের লড়াই করতে হবে। তাদের ওপর বারবার হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এটা মেনে নিতে পারি না।’ তিনি বলেন, ইসরায়েল যেভাবে ফিলিস্তিনের একটি হাসপাতাল ও অন্যান্য স্থানে হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনের নারী ও শিশুসহ নিরপরাধ মানুষ হত্যা করেছে, তার নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইসরায়েলের বোমা হামলায় নিহত বা আহত শিশুদের রক্তমাখা মুখ দেখা অসহনীয়।’ তিনি বলেন, ‘আমরা নারী ও শিশুদের জন্য ওষুধ, শুকনো খাবার এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠাব। আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। আমাদের যা কিছু সম্পদ আছে ,আমরা সব সময় তা নিয়ে মানুষের পাশে আছি।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের অবস্থান হলো—অবিলম্বে এই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। ইসরায়েলের দখল করা ভূমি ফিলিস্তিনের জনগণকে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। ফিলিস্তিনের জনগণকে তাদের ভূমি ফিরিয়ে দিতে হবে।’