খালেদা জিয়াকে আবারও নেওয়া হলো সিসিইউতে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপরসন বেগম খালেদা জিয়াকে আরেক দফায় করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় তাকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে নেওয়া হয়।
বিএনপি চেয়ারপরাসনের মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য বলেন, ‘মাঝেমধ্যেই ম্যাডামের সমস্যা জটিল হচ্ছে। অক্সিজেন কমে যাওয়াসহ একাধিক জটিলতা দেখা দিচ্ছে। তাই দ্রুত সিসিইউয়ের সহায়তার প্রয়োজন হচ্ছে।’
এই চিকিৎসক জানান, বেগম খালেদা জিয়ার পেট থেকে পানি অপসারণ করা হচ্ছে। এখনও পানি জমছে। যাতে বোর্ড উদ্বিগ্ন। জরুরি প্রয়োজনে তাকে মাঝেমধ্যেই সিসিইউতে নেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা শেষে আবার তাকে কেবিনে নিয়ে আসা হয়। এভাবে চলছে তার চিকিৎসা। শারীরিক অবস্থা কখনও উন্নতি, কখনও অবনতি অবার কখনও স্থিতিশীল থাকে।
এই চিকিৎসক আরও জানান, দুয়েক দিন পরপরই বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের একাধিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্যারামিটারগুলোর ওঠানামা করছে। বোর্ড তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে এখনও উদ্বিগ্ন। তাই নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। শারীরিক দুর্বলতা থাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন মাঝেমধ্যে কিছু ওষুধ খেতে চান না।
উনাকে সবসময় স্যালাইন ও ইনজেকশনের ওপর থাকতে হচ্ছে। দুই দিন আগে রক্তের হিমোগ্লোবিনের কিছুটা উন্নতি হলেও ফের কিছুটা কমছে। ইনসুলিন দিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। নানা এন্টিবায়োটিকের মাধ্যমে লিভারের সমস্যা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে। তবে লিভার প্রতিস্থাপন ছাড়া স্থায়ী কোনো সমাধান নেই। স্বাস্থ্যের বিভিন্ন রিপোর্ট দেখে বোর্ড বৈঠক করে চিকিৎসায় পরিবর্তন আনে প্রতিনিয়ত।
কিছু রিপোর্ট একাধিক হাসপাতালে টেস্ট করা হচ্ছে। বোর্ড সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। লিভারের পাশাপাশি তাঁর কিডনি জটিলতা ও ডায়াবেটিসের মাত্রাও বাড়ছে। কিডনির ক্রিয়েটিনিন মাঝেমধ্যে বর্ডার লাইনের কাছাকাছি চলে যাচ্ছে। ফলে একটিকে কমাতে গেলে আরেকটিতে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বোর্ড জরুরি ভিত্তিতে তার লিভার প্রতিস্থাপনে জোর দিচ্ছেন, যা বাংলাদেশে সম্ভব নয়।