অনলাইনে জুয়া পরিচালনা, চারজন গ্রেপ্তার
ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অনলাইন সাইটে জুয়া পরিচালনার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এই জুয়ায় টার্গেট করা হচ্ছে উঠতি বয়সীদের। হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অনলাইনের এসব জুয়ার আসরের মাধ্যমে গত তিন মাসে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। পরে সেই অর্থ পাচার করা হয়েছে প্রতিবেশী দেশে। সম্প্রতি গাজীপুর ও রাজধানীর মালিবাগে অভিযান চালিয়ে অনলাইন জুয়া চক্রের বাংলাদেশি এজেন্ট নিশাত মুন্নাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের মিডিয়া সেন্টারে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, চক্রের মূলহোতা নিশাত মুন্না (২০), তার সহযোগী কামরুল ইসলাম শুভ (২৭), সুমন (৩৫) ও নাজমুল হোসেন বাবু (৩১)। অভিযানে তাদের কাছ থেকে ১৬টি মোবাইল ফোন, ১৮টি সিমকার্ড, একটি সিপিইউ ও একটি মনিটর জব্দ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানিয়েছে, নিশাত মুন্না একজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া। তিনি অনলাইনে জুয়ার আসর বসে এমন একটি সাইটের বাংলাদেশি এজেন্ট। মুন্নাকে ওই সাইট পরিচালনায় সহযোগিতা করতেন চক্রের আরও ছয় থেকে সাতজন সদস্য। মুন্না ইউটিউবে জুয়া সংক্রান্ত ভিডিও বানাতেন। বিনিময়ে প্রতিটি ভিডিওর জন্য ১০ হাজার টাকা নিতেন তিনি। এভাবে তরুণদের আকৃষ্ট করে প্রথমে তাদের একাউন্ট খুলে দিতেন বাকি সদস্যরা। বিনিময়ে নিতেন ৩০০ টাকা।
খন্দকার আল-মঈন জানান, ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে দেশের বাইরে থেকে পরিচালিত হয় এসব জুয়ার সাইট। এর মাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা পাচার করেছে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। মূলত ফুটবল বিশ্বকাপ, ক্রিকেট বিশ্বকাপ, আইপিএল, বিপিএল ও বিভিন্ন ফুটবল লিগ/টুর্নামেন্ট ও অন্য খেলাকে কেন্দ্র করে উঠতি বয়সীদের টার্গেট করে অনলাইন জুয়ার প্রচার করতো। এরপর আগ্রহীদের বিভিন্ন সাইটের একাউন্ট খুলে দিতো। পরে তাদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে মোবাইল ব্যাংকিং ও হুন্ডির মাধ্যমে দেশের বাইরে পাচার করতো।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) অনলাইন জুয়া সংক্রান্ত বিভিন্ন অ্যাপস এবং ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিলেও গ্রেফতার করা ব্যক্তিরা ডোমেইন পরিবর্তন করে আবারও সেই প্লাটফর্মগুলো চালু করতো। নামে বেনামে সিম সংগ্রহের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং দিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করতো। পরে সেখান থেকে নিজেদের কমিশন রেখে বাকি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে পাচার করতো।