কক্সবাজারে পাহাড়ে বাচ্চা হাতির মৃত্যু
কক্সবাজারের রামু এলাকায় পাহাড়ে একটি বাচ্চা হাতির মরদেহ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে রামু উপজেলার পানেরছড়ার হোয়ারিয়া ঘোনার পাহাড়ে বাচ্চা হাতিটির মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে তারা বনবিভাগকে খবর দেয়।
এ খবর নিশ্চত করেছেন কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগীয় কর্মকর্তা সরওয়ার আলম।
বাচ্চা হাতিটির মৃত্যুর কারণ বনবিভাগ নিশ্চিত করতে না পারলেও বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ও পরিবেশবাদী সংগঠকরা।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগীয় কর্মকর্তা সরওয়ার আলম জানিয়েছেন, সাত-আট বছরের বাচ্চা হাতিটি নারী। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে খাদ্যে বিষক্রিয়াজনিত কারণে এটি মারা যেতে পারে। আবার অনেকেই বলছেন বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে এটিকে হত্যা করা হয়েছে। তবে তার লক্ষণ পাওয়া যায়নি। হাতির ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব নমুনা ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। নমুনার প্রতিবেদন হাতে এলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। আজ দুপুরের পর হাতিটি মাটিতে পুতে ফেলা হয়েছে।
পরিবেশবিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপলের প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ জানিয়েছেন, হাতিটির বিষয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। তারা জানিয়েছে, রাতে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে হত্যাটি হত্যা করা হয়েছে। এটি একটি এশিয়ান প্রজাতির হাতি।
রাশেদুল মজিদ বলেন, ‘হাতি হত্যা অপরাধ। বনবিভাগ প্রায়ই হাতি মৃত্যুর পর নানা অজুহাতে প্রকৃত সত্য প্রকাশ করে না। অনেক ক্ষেত্রে হত্যায় জড়িতদের সঙ্গে যোগাযোগ করে অর্থ নিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। হাতি হত্যায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দিলে এটা বন্ধ করা যাবে না।’