ঘূর্ণিঝড় হামুনের ভোগান্তিতে বান্দরবানের পর্যটকরা
উপকূলের দিকে আরও অগ্রসর হয়েছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় হামুন। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে বান্দরবানে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গতকাল সোমবার (২৩ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়ে আজ মঙ্গলবারও থেমে থেমে জেলাটিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। আর এতেই ভোগান্তিতে পড়েছে শারদীয় দুর্গোৎসবের ছুটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকরা।
জেলায় আজ সূর্যের দেখাও মেলেনি। দূর দূরান্তের দর্শনীয় স্থানগুলো দেখতে যেতে পারছে না পর্যটকরা। টানা বৃষ্টিতে দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের শঙ্কাও। এ শঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে স্থানীয়দের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার কথা বলছে প্রশাসন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
পূজোর ছুটিতে বান্দরবানে আসা পর্যটক সোহেল, সাব্বির ও সুজানা জানান, মেঘলা আকাশ আর বৃষ্টিতে ভ্রমণের আনন্দটা অনেকটায় ম্লান হয়ে গেল। মেঘলা ও নীলাচল ছাড়া অন্য স্পটগুলোতে যেতে পারেননি তারা। শৈল প্রপাতে গেলেও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠায় ঘুরে দেখতে পারেননি ঠিকমতো। তবে, পাহাড়ে বৃষ্টির সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন।
বান্দরবান হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘শারদীয় উৎসবের ছুটিতে পর্যটকরা ভিড় জমিয়েছিল। সরব হয়ে উঠেছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসাবাণিজ্য। তবে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বেড়াতে আসা পর্যটকরা হোটেল বন্দি। আশপাশের দর্শনীয় স্থানগুলোও ঠিকমতো ঘুরে বেড়াতে পারেনি।’
মৃত্তিকা ও পানি সংরক্ষণ কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার রাত থেকে জেলায় বৃষ্টি হচ্ছে। আজ ভোর রাতে ভারি বর্ষণ হয়েছিল। সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। পাহাড় ধসের শঙ্কাও রয়েছে।’
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো থেকে লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।’