কক্সবাজারে ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডব, নিহত ৩
দেশের উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে। জেলার বহু এলাকায় নেই বিদ্যুৎ, নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক। একইসঙ্গে সড়ক-উপসড়কে গাছ উপড়ে পড়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘূর্ণিঝড়ে দেয়াল ধস ও গাছচাপায় প্রাণ গেছে তিনজনের। আহত হয়েছেন অন্তত শতাধিক।
নিহতরা হলেন—কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী এলাকার আবদুল খালেক (৪০), মহেশখালী এলাকার হারাধন দে (৪৫) ও চকরিয়া বদরখালী এলাকার আসকর আলী (৪৭)।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দিনগত রাত ৭টার পরই ঘূর্ণিঝড় হামুন কক্সবাজারে আঘাত হানে। এতে উপড়ে যায় গাছপালা ও ঘরবাড়ি। কক্সবাজার শহরের হলিডে মোড়, সদর হাসপাতাল সড়কেই উপড়ে পড়েছে ১৫টির বেশি গাছ। একইসঙ্গে বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ায় সড়কে বন্ধ যানবাহন চলাচল। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সামনেও উপড়ে পড়েছে গাছ। ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে কক্সবাজার শহরের পাশাপাশি উপজেলাগুলোতেও একই ধরনের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে এ পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। জেলা শহরের পাশাপাশি উপজেলাগুলোতে সড়কে গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুঁটি। বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। কক্সবাজার অনেকটা অচল হয়ে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের কাজ চলছে।’
ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবের পর উপড়েপড়া গাছপালা সরাতে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করতে কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। এতে মানুষের দুর্ভোগ দীর্ঘ হচ্ছে।