হামুনের তাণ্ডবে দক্ষিণ চট্টগ্রামে নিহত দুই, বিপর্যস্ত, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুনের’ তাণ্ডবে দক্ষিণ চট্টগ্রামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় ১০০ জন। বিধ্বস্ত হয়েছে অন্তত পাঁচ হাজার ঘরবাড়ি। বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছপালা উপড়ে সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে সাতকানিয়া, বাঁশখালী ও চন্দনাইশ উপজেলা। ভেঙে পড়েছে কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি, বিপুল গাছপালা। আজ বুধবার (২৫ অক্টোবর) জেলা প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রাস্তায় গাছ উপড়ে পড়ে চট্টগ্রামের সঙ্গে বাঁশখালী, সাতকানিয়া ও চন্দনাইশ উপজেলার সড়ক যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন প্রায়।
সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস বলেন, উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নে গাছচাপায় বকুমা খাতুন (৬৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন গ্রামে অনেক গাছপালা ভেঙে গেছে। গাছ ও ডালপালা ভেঙে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে গেছে। ১২৩টি ঘরের আংশিক ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্য এসেছে।বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
বাঁশখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বলেন, প্রাথমিকভাবে পাওয়া খবরে সরল ইউনিয়নে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। আহত হয়েছে প্রায় ৮৫ জন। উপজেলায় বিদ্যুৎ নেই। বিভিন্ন রাস্তায় গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
পল্লী বিদ্যুতের প্রকৌশলী দিলীপ বলেন, দক্ষিণ চট্টগ্রাম এলাকায় কমপক্ষে ৮১টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বাঁশখালীতে। বিভিন্ন স্থানে গাছ ভেঙে পড়েছে, তাই সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। যার কারণে আমাদের কর্মীরা মুভমেন্ট করতে পারছে না। সাতকানিয়াতেও বিদ্যুৎ লাইনের ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছে প্রায় পুরো উপজেলা।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার বলেন, ‘আমরা বিস্তারিত তথ্য এখনও পাইনি। বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কও পাওয়া যাচ্ছে না। যার কারণে আমাদের তথ্য পেতে বেগ পেতে হচ্ছে।’