পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে যুবদলনেতার মৃত্যুর দাবি
রাজধানীর নয়াপল্টন এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক যুবদলনেতার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন। বলা হয়েছে, শামীম মোল্লা নামে নিহত ওই নেতা মুগদা থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক নম্বর ইউনিটের সভাপতি। আজ শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। যদিও ওই হাসপাতালের পরিচালক পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মো. রেজাউল হায়দার বলেছেন, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
শফিকুল ইসলাম মিল্টনের দাবি, ‘বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশ শামীম মোল্লাকে গুলি করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন হাসপাতালে নিলে সেখানে তিনি মারা যান।’
নূর মোহাম্মদ নামে একজন নিহতের ছোট ভাই দাবি করে গণমাধ্যমকে জানান, শামীম মোল্লার স্ত্রী এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তিনি পেশায় প্রাইভেটকার চালক ছিলেন। তবে, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কি না, তা তার জানা নেই।
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আজ নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। এই উপলক্ষে ওই এলাকায় বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সমবেত হন। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এতে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক পুলিশের উপমহাপরিদর্শক মো. রেজাউল হায়দার এনটিভি অনলাইনকে জানান, তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
এর আগে সংঘর্ষে পারভেজ নামে এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর তথ্য মেলে। আরও অনেকে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়, আহতদের দেখতে আজ সেখানে যান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। তাদের সঙ্গে ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান।