গণগ্রেপ্তার ও গুলি চালিয়ে ক্ষমতায় থাকা যাবে না : ১২ দলীয় জোট
শেখ হাসিনার পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন ও মহাসমাবেশে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে জোটের ডাকা আহুত হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল করে ১২ দলীয় জোট।
আজ রোববার (২৯ অক্টোবর) বিজয়নগর পানির ট্যাংকের মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।
এসময় মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ১২ দলীয় জোটের শরিক ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, গণগ্রেপ্তার ও গুলি চালিয়ে ক্ষমতায় থাকা যাবে না হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই অবৈধ ভোট চোর সরকার তাদের পুরোনো খেলায় মেতে উঠেছে। তাই গতকাল (২৮ অক্টোবর) শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে ১২ দলীয় জোট, বিএনপিসহ অন্যান্য সরকার বিরোধী দলের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা চালিয়েছে।
এলডিপি মহাসচিব বলেন, চলমান আন্দোলনের সকল অনাকাঙ্খিত ঘটনার পেছনে সরকারের মদদ রয়েছে। তারা বিরোধী দল দমনে এখন মরিয়া হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজেদের লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করছে।
১২ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাগপার সহসভাপতি ও রাজনৈতিক মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেন, অবৈধ জালিম শাহী আওয়ামী লীগ সরকারকে আর শেষ ইচ্ছা পূরণেরও সুযোগ দেওয়া হবে না! তারা এখন খোয়াব ঘরেও বিএনপি, জামায়াত ও ১২ দল আতঙ্কে আছে। তবে আওয়ামী লীগের সময় এখন শেষ। এখন জনগণ তাদের পাওনা বুঝিয়ে নেওয়ার তাগিদে রাজপথে নেমে এসেছে। আশা করি এই আন্দোলনে আমরা জনগণের পাওয়া মিটিয়ে দেব এবং ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণ করবো।
এদিকে ১২ দলীয় জোটের নেতৃবৃন্দ বলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ গণগ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, গণগ্রেপ্তার ও বাসায় বাসায় পুলিশি তল্লাশি করে আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা হবে না। এই অবৈধ সরকারকে অবিলম্বে ক্ষমতা ছাড়তে হবে।
মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাগপার সহসভাপতি ও রাজনৈতিক মুখপাত্র রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক হোসেন, জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ এলডিপির সহসভাপতি চাষী এনামুল হক, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল সাকিব, জাতীয় পার্টির (জাফর) আ স ম শামীম প্রমুখ।