বিএনপিনেতা রশিদের মৃত্যু, পুলিশ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি বক্তব্য
বিএনপি-জামায়াতের হরতাল চলছে আজ রোববার (২৯ অক্টোবর)। এর মধ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশের দাবি, আগুন দিয়েছেন আবদুর রশিদ নামের এক ব্যক্তি। ঘটনার পর পালাতে গিয়ে স্থানীয়দের ধাওয়ায় পালাতে গিয়ে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে উঠে সেখান থেকে পড়ে মারা গেছেন তিনি।
যদিও বিএনপির দাবি, হরতালের মিছিল শেষে ফেরার পথে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে পিটিয়ে এবং পরে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করেছে। রশিদ আদাবর থানার ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
জানা গেছে, মোহাম্মদপুরে জাকির হোসেন রোডে আজ দুপুর ১২টার দিকে একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে মারা যায় রশিদ। বিকেলে মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আজিজুল হক এ তথ্য জানান। আজিজুল হক বলেন, ‘রশিদের বাড়ি নাটোরে। তার পকেটে পাওয়া একটি আইডি কার্ডে তার নাম ঠিকানা পাওয়া যায়।’
আজিজুল হক জানান, আসাদ এভিনিউয়ে মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের কাছে পরিস্থান পরিবহণের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছিলেন রশিদ। আগুন দেওয়ার পর রাস্তার লোকজন ধাওয়া করলে তিনি জাকির হোসেন রোডের একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে ওঠেন। ওই ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পালাতে গিয়ে রশিদের মৃত্যু হয়।
কমিশনার আজিজুল হক জনান, আগুনে ওই বাসের সবগুলো সিট পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভায়। সকাল ১০টার দিকে বাসে আগুন দেওয়ার ওই ঘটনায় দুই যাত্রী দগ্ধ হন। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনিস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক দাবি করেছেন, ‘আদাবর থানার সাবেক যুবদল নেতা বর্তমান আদাবর থানা বিএনপির অন্তর্ভুক্ত ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুর রশিদ। তিনি হরতালের মিছিল শেষে ফিরছিলেন। এই সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাকে পিটিয়ে ও পরে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করেছে।’