জনগণ কাজী সাহেবকে লাল কার্ড দেখিয়ে বিদায় দেবে : নিক্সন চৌধুরী
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য কাজী জাফর উল্যাহর উদ্দেশে নিক্সন চৌধুরী বলেছেন, ‘এলাকার উন্নয়ন করতে হলে নিক্সন চৌধুরীর বিকল্প নেই। জনগণ এবার সংসদ নির্বাচনে কাজী সাহেবকে লাল কার্ড দেখিয়ে বিদায় দেবে।’ গত শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সদরপুরের ঢেউখালী ইউনিয়নের রাজারচর ওয়াজিবুল্লাহ্ হাওলাদারডাঙ্গী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক উঠান বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
গত বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকালে ভাঙ্গায় এক উঠোন বৈঠকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, ‘নিক্সন চৌধুরী নিজেকে সিংহ মনে করেন, তাকে আবার ভোট দিলে আপনাদের চাবাইয়া খাইয়া ফেলবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিলে সে ভোট আমি পাব। আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমাকে ভোট দিলে আপনারাই লাভবান হবেন।’
কাজী জাফর উল্যাহর সেই বক্তব্যের জেরে নিক্সন চৌধুরী এই মন্তব্য করেন।
নিক্সন চৌধুরী কাজী জাফর উল্যাহর কাছে প্রশ্ন রেখে জানতে চেয়েছেন, ‘গত সাড়ে চার বছর কোথায় ছিলেন আপনি? এখন নৌকা নৌকা করছেন এলাকায় এসে। আপনার শক্তি আপনি সৎ ভাবে ব্যবহার করেননি। আপনার ভুল কোনটা আপনি এখনও বোঝেন না। আপনি মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। আপনি মানুষের সঙ্গে হাত মিলিয়ে টিস্যু দিয়ে সেই হাত মুছেছেন।’
নিক্সন চৌধুরী কাজী জাফর উল্যাহর উদ্দেশে আরও বলেন, করোনা সময় আপনি তিন থানায় আসেননি। যখন আমার তিন ইউনিয়ন বন্যায় ডুবে ছিল তখন আসেননি। এক ছটাক চাল দেননি। তাদের আমরা দিয়েছি। বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল, তেল, ডাল, ফল দিয়ে এসেছি। আপনার লজ্জা করে না এখন ভোট চাইতে আসেন।’
‘১৯৭১ সালে কই ছিলেন আপনি। আপনি তো হাফপ্যান্ট পরে পাকিস্তানিদের খাদ্য সাপ্লাই দিয়েছেন। আপনি কেন যুদ্ধে যাননি?’ প্রশ্ন করে নিক্সন চৌধুরী কাজী জাফর উল্যাহর উদ্দেশে বলেন, ‘তখন আমাদের পিতাসহ অনেকেই যুদ্ধে গেছেন, আপনি কোথায় ছিলেন?’
নিক্সন চৌধুরী কাজী জাফর উল্যাহর উদ্দেশে আরও বলেন, ‘কদিন আগে ভাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় নিক্সন চৌধুরী লোক না দিলে আপনার ইজ্জত থাকত না। আমার হলুদ পাখিরা মাঠ ভরে দিয়েছে। আপনি একটা ভণ্ড, ভণ্ডামির শেষ সীমানায় নিয়ে গেছেন নিজেকে। আপনি যেভাবে ভণ্ডামি করতেছেন ইনশা আল্লাহ আগামীতে হিরো আলমের থেকে বেশি ভোট পাবেন।’
নিক্সন চৌধুরী কাজী জাফর উল্যাহর উদ্দেশে বলেন, ‘আমি নাকি চোর। কী চুরি করেছি? চোর আপনি, আপনার পরিবার। মঞ্চে যে বক্তব্য দেবেন প্রমাণসহ ব্যাখ্যা দেবেন। মিথ্যা বক্তব্য দেবেন না। এলাকার উন্নয়ন করতে হলে নিক্সন চৌধুরীর বিকল্প নেই।’
ওই উঠান বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাৎ হোসেন, সদরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী শফিকুর রহমান, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট সায়েদীদ গামাল লিপু প্রমুখ।
উঠান বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মো. ফিরোজ হাওলাদার আর সঞ্চালনা করেন রেজাউল হাওলাদার।