প্রধান বিচারপতির ফটকে লাথি মারা মানে বিচার বিভাগকে লাথি মারা : আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘কিছু রাজনৈতিক দল আন্দোলনের নামে সহিংসতা শুরু করেছে। প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ফটকে লাথি মারা হয়েছে। এটা আমি মনে করি, সমস্ত বিচার বিভাগকে লাথি মারা হয়েছে।’
আজ রোববার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর মারিয়ালীতে নবনির্মিত রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্স উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্রমূলক কাজ করে গতকাল শনিবার একজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যকে হত্যা করেছে। এ দেশে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এ হত্যার বিচার অবশ্যই হবে। এটা কোনো সরকার, বাংলাদেশের জনগণ সহ্য করবে না। এর বিচার তড়িৎ গতিতেই হবে ইনশা আল্লাহ।’
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। রাজনীতি গণতন্ত্রের একটা অংশ। রাজনীতিতে অনেক কথা, দেশের মানুষের কল্যাণের কথা; দেশের মানুষের উন্নয়নের কথা বলতে কারও বাধা নেই। কিন্তু রাজনীতির নামে যদি সহিংসতা চালানো হয় তাহলে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলব ব্যবস্থা নিতে।’
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত করেছেন’ উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি দেশের উন্নয়ন করেছেন। এ উন্নয়নকে ব্যাহত করার জন্য বাংলাদেশ যেন নিজের পায়ে না দাঁড়াতে পারে, যেন ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হতে না পারে সে জন্য বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করছে। সেই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মানুষ খুন করছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন কেউ ব্যাহত করতে পারবে না, কাউকে ব্যাহত করতে দেওয়া হবে না। আপনারা সতর্ক থাকবেন, ভীত হবেন না, আশাহত হবেন না, কেউ আমাদের দমাতে পারবে না।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্যই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার ব্যবস্থা করেছেন। দেশে আইনের শাসন চালু থাকুক—এটা আমাদের সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার। আমরা জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় এ দেশে নির্বাচন হবে। কারণ রাষ্ট্রের মালিক হচ্ছে জনগণ। তাই জনগণের ইচ্ছায় রাষ্ট্র পরিচালিত হবে এবং সংবিধান অনুসারে প্রতি পাঁচ বছর পরপর জনগণ তাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করবে। তারা এ রাষ্ট্র পরিচালনা করবে।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক (নিবন্ধন) উম্মে কুলসুম, জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মো. সফিকুল ইসলাম, জেলা রেজিস্ট্রার সাদিকুন নাহার।
এর আগে প্রধান অতিথি ও অনুষ্ঠনের সভাপতি ফিতা কেটে এবং ফলক উন্মোচন করে জেলা রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।