কিশোরগঞ্জে পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল ও কৃষকদল নেতা নিহত
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পুলিশের গুলিতে শেফাত উল্লাহ তন্ময় (২০) নামে এক ছাত্রদল নেতা এবং বিল্লাল মিয়া (৩০) নামে এক কৃষক দলনেতা নিহত হয়েছে। এছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন কমপক্ষে অর্ধশত নেতাকর্মী। আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার ছয়সূতি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নিহত রেফায়েত উল্লাহ ছয়সূতি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসভাপতি। তিনি ছয়সূতি ইউনিয়নের বড় ছয়সূতি গ্রামের কাওসার মিয়ার ছেলে। বিল্লাল মিয়া ছয়সূতি ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টার দিকে সড়ক অবরোধ করে বিএনপির নেতাকর্মীরা যানবাহন ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। এতে বাধা দেয় পুলিশ। এ সময় অবরোধ সমর্থকরা পুলিশের ওপর হামলা করলে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রাবার বুলেট ছুঁড়ে।
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরিফুল আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘দলের শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও পুলিশ হামলা চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।’
এ ছাড়া ভৈরবে অবরোধের প্রথম দিন সকাল ৭টার দিকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষ একে অন্যের ওপর ইটপাটকেল ছুঁড়ে। ককটেল বিস্ফোরণ করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ ঘটনায় কমপক্ষে বিএনপির ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে দলটির পক্ষ থেকে। সংঘর্ষ চলাকালে রাস্তার পাশে পার্ক করা দুটি ট্রাক ভাঙচুর করা হয়।
এদিকে সকাল ৮টার দিকে আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের একদল কর্মী-সমর্থক কমপুরস্থ উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করেনি বলে জানা গেছে।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।