যে শিল্পে কাজ করে শ্রমিক খেতে পারে না, সেই শিল্পের পুনর্বিবেচনা করতে হবে
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, যে শিল্পে কাজ করে একজন শ্রমিক ৩০ দিন খেতে পারেন না, বাচ্চার স্কুলের বেতন দিতে পারেন না, ২০ দিনের মাথায় বেতন শেষ হয়ে যায়, সেই শিল্পের বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে শামীম হায়দার এসব কথা বলেন।
‘অনেক বেতন বাড়ালে কিছু পোশাক কারখানা ঝরে পড়তে পারে’ উল্লেখ করে শামীম হায়দার বলেন, ‘২৫ বছর ধরে আপনি লাভ করেছেন, দুই বছর ঝুঁকি নিতে পারবেন না? ২৫ বছরের লাভে বাড়ি করেছেন তিনটা, চারটা, পাঁচটা। দেশে-বিদেশে ছেলেমেয়েকে পড়াচ্ছেন। শ্রমিকদের বেতন বাড়ানোর ঝুঁকি নিতে হবে। পাশাপাশি বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে দর–কষাকষি করে মূল্য বাড়াতে হবে। সবকিছুর সমন্বয় করে শ্রমিক স্বস্তিতে না থাকলে দেশ স্বস্তিতে থাকবে না।’
জাতীয় পার্টির এ সংসদ সদস্য বলেন, ‘একটা খাতের উন্নয়ন হচ্ছে, মানে হলেও সে খাতের শ্রমিকদেরও উন্নয়ন করতে হবে। আমরা গার্মেন্টস মালিকদের চকচকে বাড়ি দেখি, কারখানাও চকচকে দেখছি। গার্মেন্টস শ্রমিকদের স্বাস্থ্যের উন্নতি দেখছি না। সকালে যখন হাঁটি, তখন দেখি হাজার হাজার মেয়ে হেঁটে যাচ্ছে, সবাই লিকলিকে। কারও স্বাস্থ্য ভালো না, খেতে পারে না ঠিকমতো। ডিম খায় না সপ্তাহে একদিনও। ডালভাত খায়।’