ঢাকাবাসীকে মেট্রোরেল উপহার দিয়ে গেলাম : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকে ঢাকা বিভাগের সবাই সমবেত হয়েছি। মেট্রোরেলে চড়ে আমি এ সমাবেশে এসেছি। ঢাকাবাসীকে আমি এ মেট্রোরেল উপহার দিয়ে গেলাম। আপনারা এগুলো যত্নসহকারে ব্যবহার করবেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের দিয়ে গেছেন স্বাধীনতা। আর আমরা সে দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছি।
আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) মতিঝিলে মেট্রোরেলের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সমাবেশে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাতির পিতার মতো আমিও নিজেকে দেশের জন্য উৎসর্গ করলাম। বিএনপি দেশকে পিছিয়ে দিয়েছে, আর আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা আকাশপথে মেট্রোরেলে করেছি, এখন পাতাল রেলের কাজ চলবে। সেটি নিয়েও কাজ চলছে। মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৫ (উত্তর রুট) নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছি। রুটটি হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা হয়ে গাবতলী, মিরপুর-১০, গুলশান পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। ৪১ হাজার ২৩৯ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৮ সালে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, পানির সমস্যা, বিদ্যুুৎ সমস্যা নিরসন করেছি। হাতিরঝিলকে দৃষ্টিনন্দন করেছি। দেশে জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া মিলে ২১ বছর ক্ষমতায় ছিল। দেশে পানি নাই, রাস্তাঘাট নেই অভাব আর অভাব। এ সময় মানুষ ছিল অন্ধকারে। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সামরিক-বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে। সেই জিয়াউর রহমানের দলই বিএনপি। তারা গ্যাস বিক্রির জন্য মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসে। এসে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর আমরা ক্ষমতায় এসে রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ব্রিজ নির্মাণ করেছি। মাংস, ডিম, মাছ, শাক, সবজি উৎপাদন বাড়িয়েছি। সারা দেশে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কমিউনিটি হাসপাতাল করেছি। ২৮ অক্টোবর পুলিশকে যেভাবে আক্রমণ করল। ওইদিন পুলিশ অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। তারা পিছু হটার পরও তাদের ওপর আক্রমণ করেছে। নির্যাতন করে পিটিয়ে একজন পুলিশকে হত্যা করল। শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে মানুষকে হত্যা করা, ধ্বংসযজ্ঞ করা। তাদেরকে এ হত্যা ধ্বংস বন্ধ করার আহ্বান জানাই। আমি ঢাকাবাসীকে আহ্বান জানাব, যারা পোড়াতে আসবে তাদের ধরে ওই আগুনে তাদের হাত পুড়িয়ে দিতে হবে। তাদের কীভাবে মোকাবিলা করতে হয়, সেটি আমাদের জানা আছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী নির্বাচনে যাকে প্রার্থী করি তাকে ভোট দেবেন। কানাখোড়া যাকে প্রার্থী করি তাকেই ভোট দেবেন। এবার নৌকা জিতবে।
এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জিতবে এবার নৌকা স্লোগান দেন।