গৃহবধূকে হত্যার দায়ে স্বামী-শাশুড়ির যাবজ্জীবন
নাটোরের সিংড়ায় গৃহবধূ রুবি রানী মহন্তকে হত্যার দায়ে স্বামী ও শাশুড়িকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ওই দুই আসামিকে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে তা বাদিকে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আজ রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুরে এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিংড়া উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের দুলাল চন্দ্র মহন্ত ও তার মা গীতা রানী মহন্ত।
আদালতের বিশেষ পিপি আনিসুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০০০ সালে পারিবারিকভাবে দুলালের সঙ্গে বিয়ে হয় রুবির। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য ওই গৃহবধূকে চাপ দিয়ে আসছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। যৌতুকের টাকা না পেয়ে ২০১১ সালের ১৪ মার্চ পাকুড়িয়া গ্রামে গৃহবধূ রুবি রানী মহন্ত ও তার বাবা তপন চন্দ্র মহন্তকে মারধর করে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এ সময় সেখান থেকে পালিয়ে যায় তপন চন্দ্র। পরে ওই দিনই রুবিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে দেয় আসামিরা।
এ ঘটনায় রুবির বাবা সিংড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলার তদন্ত শেষে দণ্ডপ্রাপ্তদের অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় তদন্তকারী কর্মকর্তা। সাক্ষ্য শেষে বিচারক আজ এই রায় দেন।
এদিকে, স্বামী ও শাশুড়িকে যাবজ্জীবনের রায় দেওয়ার পরে একই আদালত ধর্ষণ মামলায় আরও এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ওই আসামির নাম ওয়াজেদ আলী। এর পাশাপাশি আসামিকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে।