গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে : ১২ দলীয় জোট
১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, সরকার পতনের একদফা বাস্তবায়নের কাজটি আওয়ামী লীগ নিজেই ত্বরান্বিত করছে। সভ্য জগতে একটি দেশে গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরে বিরোধী দলের সব নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রাখা শুধু নিন্দাজনক নয়, লজ্জা এবং হতাশার ব্যাপার। নিরস্ত্র ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে সরকার যেভাবে যুদ্ধের আবহ তৈরি করেছে, তাতে জাতিসংঘ এবং গণতান্ত্রিক দুনিয়ার নিরব থাকার কোনো যোক্তিকতা দেখি না। তারা আরও বলেন, গণতন্ত্রকে আবারও পুনরুদ্ধার করতে হবে।
১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে রাজধানীর আসাদগেট জাগপা মিলনায়তনে আজ মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব বলেন।
১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সাবেক মন্ত্রী জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, ন্যাপ ভাসনীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্য জোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা শওকত আমিন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এম এ বাশার, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব কাজী নজরুল, জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেম, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় দলের আল মাসুদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন,
স্বাধীনতার চেতনা জাগ্রত রাখতে ৭ নভেম্বর আমাদের উদ্দীপনা জাগায়। ৭ নভেম্বরের চেতনা বুকে ধারণ করেই আমরা স্বাধীনতা রক্ষা করব, গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করব এবং দেশকে স্বাবলম্বী ও সমৃদ্ধির ধারায় এগিয়ে নেব।
নেতারা বলেন, সারাজীবন গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করে আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা লাভের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে গণতন্ত্র হত্যা করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল। সেই আওয়ামী লীগ একুশ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল। শেখ হাসিনা আবারও গণতন্ত্রকে করব দিয়ে বাকশালের দ্বিতীয় সংস্করণ চালু করতে শুরু করেছে।
বলা হয়—ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষা ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা গ্রহণ করে না। অন্যের কথা জানি না, তবে আওয়ামী লীগ বারবার একই ভুল করছে।
নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মুক্তি দাবি করেন এবং পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে নিজেদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।