আশুলিয়ায় ১৩৫ পোশাক কারখানা বন্ধ, পাঁচ মামলায় গ্রেপ্তার ৪
অব্যাহত শ্রমিক অসন্তোষের মুখে আশুলিয়ায় বন্ধ রয়েছে ১৩৫টি তৈরি পোশাক কারখানা। এর মধ্যে প্রায় ১০০ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্যে বন্ধ উল্লেখ করে প্রধান ফটকে নোটিশ টাঙিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার (১০ নভেম্বর) পর্যন্ত আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানা ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা হয়েছে পাঁচটি। সারা দিনে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব মামলায় চারজন শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মজুরি বোর্ড ঘোষিত ন্যূনতম মুজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা প্রত্যাখ্যান করে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মোতায়েন রয়েছে বিজিবি। শিল্পাঞ্চলজুড়ে পুলিশ ও বিজিবির এপিসির টহল জোরদার করা হয়েছে। সকাল থেকে টঙ্গী-আশুলিয়া সড়কের ইউনিক, শিমুলতলা, জামগড়া, ছয়তলা, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর ও জিরাবো-বিশমাইল সড়কের কাঠগড়া আমতলা, বড় রাঙ্গামাটিয়ার বিভিন্ন কারখানায় দেখা গেছে বন্ধের নোটিশ। কারখানা বন্ধের নোটিশে বিপাকে পড়েছেন তৈরি পোশাক শ্রমিকরা।
পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ বলেছে, শ্রম আইনের ১৩(১) ধারা অনুযায়ী কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই আইনে বন্ধ কারখানার শ্রমিকরা কোনো বেতন পাবেন না। এর আগে সব ধরনের নিয়োগ বন্ধের ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।
বিজিএমইএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, ‘যতদিন পরিস্থিতি শান্ত না হবে, ততদিন প্রয়োজনে কারখানার বন্ধের পাশাপাশি নিয়োগও বন্ধ থাকবে।’
বিজিএমইএর এই সিদ্ধান্তকে শ্রমিকদের ওপর চাপ হিসেবে দেখছেন এই খাতের শ্রমিকনেতারা। তারা বলছেন, এভাবে কারখানা বন্ধ বেতন বন্ধ নীতি নিয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। শিল্পাঞ্চলে পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন রয়েছে বিজিবি।
আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, ‘শ্রমিক আন্দোলনের মুখে শতাধিক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করায় পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এখন পর্যন্ত এই অঞ্চলে তৈরি পোশাক কারখানা ভাঙচুরের অভিযোগে মামলা হয়েছে পাঁচটি। শনিবার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজন শ্রমিককে।’