দুদকের মামলায় প্রাইম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তার কারাদণ্ড
সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল লোকাল শাখা থেকে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় দুই ব্যাংক কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
বিচারক রায়ে প্রাইম ব্যাংক মতিঝিল শাখার জুনিয়র অফিসার মির্জা কামরুল হাসানকে পাঁচ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন এবং তা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সোনালী ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কর্মকর্তা আনিছুর রহমান সরকারকে তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ দিকে, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে বিচারক সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে নেওয়া হয়।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম মিঠু এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল লোকাল শাখা থেকে ৯০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সোনালী ব্যাংক ও প্রাইম ব্যাংকের সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন দুদকের উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ।’
আরজিতে বলা হয়েছে, সোনালী ব্যাংক লোকাল অফিসের গ্রাহক বেলহাছা একম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের হিসাব থেকে মেসার্স কামাল এন্টারপ্রাইজ নামীয় অস্তিত্বহীন ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে ৯০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। পরে মামলা তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন কমিশনের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম।