ভোটের তারিখ পরিবর্তন হতে পারে : জাপা মহাসচিব
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। জাতীয় পার্টি আশা করছে, একটি রাজনৈতিক সমঝোতা হলে নির্বাচন কমিশন তার ঘোষিত তফসিল পরিবর্তন করতে পারে। এনটিভি অনলাইনকে এ আশাবাদের কথা বলেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।
আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় টেলিফোনে এনটিভি অনলাইনকে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক করার দায়িত্ব সরকারেরই বেশি। আমরা আশা করেছিলাম, নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণার আগে সরকার একটি অর্থবহ সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করবে এবং সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেবে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, সরকার কোনো আলোচনা ছাড়াই আবারও একটি একতরফা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে।’
জাপা মহাসচিব বলেন, ‘গত পাঁচ বছরে এ সরকারের আমলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আর উপনির্বাচন, কোনো নির্বাচনই সুস্ঠু হয়নি। সর্বশেষ লক্ষ্মীপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত দুটি উপনির্বাচনে দুজন প্রার্থী দিয়েছিলাম। এ নির্বাচনেও আমাদের অংশগ্রহণ আওয়ামী লীগ মেনে নিতে পারেনি। তারা এখানেও ইচ্ছেমতো নৌকা মার্কায় সিল মেরেছে। কারণ সিল মারাটাই তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।’
জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে যাওয়া কিংবা না যাওয়ার বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে, আমাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে প্রস্তুতি রয়েছি। আমরা শেষ পর্যন্ত দেখবো সরকারের ভূমিকা কী? দেশে নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ও সরকার কী পদক্ষেপ নেয়, এটা দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেবে।’
মুজিবুল হক বলেন, ‘গতকালও আমাদের দলের কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানে কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের সব নেতা অংশ নিয়েছিলেন। সেখানেও এ সরকারের আমলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলো যে সুষ্ঠু হয়নি, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আসলে দেশের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। দেশের জন্য ও জাতির জন্য এটাই খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে একদফা থেকে বেরিয়ে এসে আলোচনার মাধ্যমে চলমান সমস্যার সমাধান করার জন্য জাপা মহাসচিব আহ্বান জানান।
নির্বাচন কমিশন চাইলে আবারও তফসিল ঘোষণা করতে পারে উল্লেখ করে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সংবিধানের আলোকে পরিচালিত হয়। তারা সংবিধান অনুযায়ী তফসিল ঘোষণা করেছে। তবে রাজনৈতিক সমঝোতা হলে তফসিল পরিবর্তন করে নির্বাচন কমিশন পুণঃতফসিলও ঘোষণা করতে পারে। অতীতে এমন নজির রয়েছে।’