ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে প্রথম দিনের যুক্তিতর্ক শেষ
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) প্রথম দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়েছে। এতে অংশ নিতে ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে হাজির হন ড. ইউনূস। পরে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। আগামী সোমবার আসামিপক্ষ যুক্তি তুলে ধরবে।
ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন আর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানিতে বলেন, শ্রম আইনের লঙ্ঘন করা হয়েছে। তাকে (ড. ইউনূস) বারবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তিনি সুযোগ নেননি। বরং, আদালত ও সবাইকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছেন। এজন্য এ আইনে তার সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থনা করছি।
ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আজ ড. ইউনূস আদালতে হাজির হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে শ্রম আইনের ২৩৪ ধারার বিধান লঙ্ঘিত হলে ২৩৬ ধারায় সরকার অনেকগুলো প্রতিকারের বিধান রেখেছে। শ্রম আইনের ২৩৬ ধারার ওই বিষয়গুলো উল্লেখ না করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর বিবাদী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে পারে না। এটি সম্পূর্ণ আইনের লঙ্ঘন ও উদ্দেশপ্রণোদিত। এটি কোনোভাবেই ফৌজদারি অপরাধ না। কলকারখানা কর্তৃপক্ষ তাদের যুক্ত উপস্থাপন করেছেন। আমরা আসামিপক্ষ আগামী সোমবার যুক্তি তুলে ধরব।
গত ৯ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজের বক্তব্য আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে তুলে ধরেন ড. ইউনূস। সেখানে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে ন্যায় বিচারের প্রত্যাশা করেন তিনি। এর আগে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ৪ নম্বর সাক্ষী পরিদর্শক মিজানুর রহমানের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে বিবাদী করা হয়।