বরিশালে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র প্রভাবে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ ক্রমশ উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ায় বরিশাল থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এ ছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত রাত থেকে নগরীতে একটানা বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে নগরের সড়কগুলোতে পানি জমেছে এবং নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
আজ শুক্রবার সকালে নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যাবস্থাপনা বিভাগ বরিশাল কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াদ হোসেন বলেন, ‘কেন্দ্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পায়রা সমুদ্রবন্দর ৭ নম্বর বিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে। তবে, বরিশাল নদীবন্দরে ২ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।’
এদিকে, লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় বিভিন্ন রুটের যাত্রীদের নদীবন্দরে এসে ফিরে যেতে দেখা গেছে। ভোলার উদ্দেশে নদীবন্দরে আসা যাত্রী ফিরোজা বেগম বলেন, ‘মেয়ের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলাম। এখন বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়ে নদীবন্দরে এসে দেখি সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে আবার মেয়ের বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।’
মেডিকেল কলেজের ছাত্র সাব্বির বলেন, ‘বাড়ি যাওয়ার জন্য সহজে ছুটি মিলে না। অনেক কষ্ট করে আজ ছুটি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়েছিলাম। কিন্তু, লঞ্চঘাটে এসে দেখি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সব লঞ্চ বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থা অনেকটা হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে।’
নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যাবস্থাপনা বিভাগ বরিশাল কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াদ হোসেন বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে অভ্যন্তরীণ ও ঢাকা-বরিশাল রুটের সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলে লঞ্চগুলো চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে।’
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরিশাল কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আজ ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।’