কিংবদন্তিদের পাশে ট্রাভিস হেড
বিশ্বকাপের প্রথম দিকে দলের সঙ্গে ছিলেন না অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার ট্রাভিস হেড। হাতের চোটের চিকিৎসা নিতে ফিরে যান দেশে। ফিরে এসে দলে সুযোগ পেলেও নিজেকে মেলে ধরতে পারছিলেন না হেড। তাতে অবশ্য, অস্ট্রেলিয়ার জয়যাত্রায় প্রভাব পড়েনি। প্রয়োজনের সময় ঠিকই জ্বলে উঠেছেন তিনি।
বড় মঞ্চে জ্বলে ওঠার স্বভাবটা ২৯ বছর বয়সী এই তারকার নতুন না। চলতি বছর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষেই হেড খেলেছিলেন ১৬৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। সে ইনিংসে ভর দিয়ে অসিরাও পায় টেস্টে বিশ্বসেরা হওয়ার স্বাদ।
ভারতের বিপক্ষে আরও একটি বিশ্ব আসরের ফাইনালে হেসেছে হেডের ব্যাট। রান তাড়া করতে নেমে ফাইনালে ৪৩ রানে তিন উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। একপর্যায়ে ম্যাচ ভারতের মুঠোয় বলে মনে হয়েছিল। তখন অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ঢাল হয়ে দাঁড়ান হেড। ভারতীয় বোলারদের কাঁদিয়ে ৯৫ বলে শতক তুলে নেন অসি ওপেনার। বিশ্বকাপ ফাইনালে তৃতীয় অস্ট্রেলিয়ান এবং সবমিলিয়ে সপ্তম ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরির কীর্তি গড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১২০ বলে ১৩৭ রান করে সিরাজের বলে আউট হন। ১৫ চার ও চার চক্কায় সাজানো তার ইনিংসে ভর দিয়ে ষষ্ঠ শিরোপার স্বাদ পায় অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচসেরার পুরস্কারও ওঠে হেডের হাতে।
ঝলমলে এই ইনিংস খেলে হেড বসেছেন কিংবদন্তিদের পাশে। তার আগে বিশ্বকাপে অসিদের পক্ষে বিশ্বকাপ ফাইনালে সেঞ্চুরি করেছিলেন দুই অসি কিংবদন্তি রিকি পন্টিং ও অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। ২০০৩ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষেই ১২১ বলে ১৪০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন পন্টিং। ২০০৭ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গিলক্রিস্ট করেন ১০৪ বলে ১৪৯ রান।
তিন অসি তারকা ছাড়া বিশ্বকাপ ফাইনালে সেঞ্চুরি করেছেন ক্লাইভ লয়েড (১৯৭৫), স্যার ভিভ রিচার্ডস (১৯৭৯), অরবিন্দ ডি সিলভা (১৯৯৬) ও মাহেলা জয়াবর্ধনে (২০১১)।