নির্বাচনে মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাড়ে সাত লাখ সদস্য
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ৭ জানুয়ারি। নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বেশ কিছু বিরোধীদল। অন্যদিকে, তফসিলকে প্রত্যাখ্যান করে এক দফা দাবিতে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো। সারা দেশে বিভিন্ন সময়ে পুড়ছে যানবাহন। অভিযোগ উঠছে নাশকতার, গ্রেপ্তারও হয়েছেন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন বাহিনীর প্রায় সাড়ে সাত লাখ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।
আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘কারা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন, সেই বিষয়ে আজ আইনশৃঙ্খলার বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক হয়েছে। এখানে বাজেট কখনও চূড়ান্ত হয় না। একটা সম্ভাব্য বাজেট নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিজন ও প্রতিদিন হিসেবে তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) একটা বাজেট দেয়। তবে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত একটা হার (পরিমাণ) আছে, সে অনুযায়ী কত সংখ্যক নিয়োগ হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা কিছু অগ্রিম বরাদ্দ চেয়েছে। বরাদ্দ প্রাপ্তির সাপেক্ষে আমরা কতটুকু দিতে পারব, সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
কতজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করবেন এবং সব মিলিয়ে বাজেট কত, এমন প্রশ্নে ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, সব মিলিয়ে বাজেট বলা যাবে না। কোন বাহিনীর সংখ্যা কত, সেটা বলতে পারি। আনসার পাঁচ লাখ ১৬ হাজার, কোস্টগার্ড থাকবে দুই হাজার ৩৫০ জন, বিজিবি থাকবে ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন এবং পুলিশ ও র্যাব থাকবে এক লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন। আর সেনাবাহিনীর বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।’
কোন বাহিনী কতদিন থাকবে—প্রশ্নে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘এ বিষয়ে পরে পরিপত্র জারি হলে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে। তারা যেভাবে দায়িত্ব পাবেন, সে অনুযায়ী বরাদ্দ হবে।’