মুক্তিযোদ্ধা ফারুক হত্যা মামলায় সাবেক পৌর মেয়রের জামিন
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগনেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি সাবেক পৌর মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি জামিন পেয়ে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি চিকিৎসার জন্য জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান জানান, গত সোমবার হাইকোর্ট থেকে সাবেক পৌর মেয়র মুক্তি জামিন পান।
জেলা কারাগার সূত্র জানায়, জামিনের কাগজপত্র আসার পর আজ সাবেক পৌর মেয়র মুক্তি কারাগার থেকে মুক্ত হন।
সহিদুর বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের আওয়ামী লীগদলীয় সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খানের ছেলে। তাঁর ভাই আমানুর রহমান খান ওরফে রানা ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। এর আগে গত বছর ১০ ফেব্রুয়ারি তিনি টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে অন্তবর্তী জামিন নিয়েছিলেন। পরে মামলার বাদী অন্তবর্তী জামিনের মেয়াদ বর্ধিত না করার জন্য আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত গত বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি জামিন বাতিলের আদেশ দেন। তারপর তিনি আবার কারাগারে যান।
আদালত সূত্র জানায়, দীর্ঘ ছয় বছর পলাতক থাকার পর ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর সহিদুর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাঁর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। মাঝে গত বছর অন্তবর্তী জামিন পেয়ে ১৮ দিন কারাগারের বাইরে ছিলেন।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ তাঁর কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার হয়। এ ঘটনার তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা পুলিশ আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। আদালতে এই দুজনের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে হত্যা সঙ্গে তৎকালীন সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা, তার তিন ভাই পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ীনেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পার জড়িত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। এরপর তাঁরা আত্মগোপনে চলে যান। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে আমানুর রহমান খান ও অপর তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করন। মামলাটির বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।