ময়মনসিংহে গুদামে চাল ঘাটতি, খাদ্য কর্মকর্তা বরখাস্ত
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকিল আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার মুক্তাগাছা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেবেকা সুলতানা রুবী।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ময়মনসিংহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদের এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
মুক্তাগাছা উপজেলা খাদ্য গুদামের ৩২৯ টন চাল ঘাটতির ঘটনায় বরখাস্ত করা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদের বলেন, ১০ অক্টোবর মুক্তাগাছা থেকে অন্যত্র বদলির আদেশ পান শাকিল আহমেদ। ১২ অক্টোবর তার স্থানে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান সাইফুল ইসলাম। কিন্তু নতুন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে না দিয়ে শাকিল গুদামের চাবি নিয়ে গা-ঢাকা দেন। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ২২ অক্টোবর গুদামের মজুদ চাল পরীক্ষা ও তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের নির্বাহী হাকিমের উপস্থিতিতে গুদামের তালা ভেঙে তদন্ত কমিটি খাদ্যের মজুদ যাচাই করে। প্রায় এক মাসের তদন্ত শেষে নয় হাজার ৯৭১টি বস্তায় ৩২৮ টন ৯৮০ কেজি চাল ঘাটতি পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য এক কোটি ৭০ লাখ সাত হাজার ২২৮ টাকা।
এ ছাড়া ৩০ কেজি চালের ১১ হাজার ৪৬৬টি খালি বস্তার ঘাটতি এবং ৫০ কেজি চালের ৩৮০টি খালি বস্তার ঘাটতি পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য সাত লাখ ২৫ হাজার ৯৬০ টাকা বলেও জানান তিনি।
সব মিলিয়ে তদন্ত কমিটি এক কোটি ৭৭ লাখ ৯৮ হাজার ২৪১ টাকার দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে বলে জানান জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। পরে গত মঙ্গলবার মুক্তাগাছা থানায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। গতকাল বুধবার তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ বলেন, ‘চাল আত্মসাতের অভিযোগে হওয়া মামলাটি দুদক তদন্ত করছে। আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’