ধারাবাহিক সাফল্যে আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ
নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ এবারও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় (এইচএসসি) ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রেখেছে। আজ রোববার (২৬ নভেম্বর) প্রকাশিত ফলাফলে এই কলেজ থেকে এক হাজার ৪৭ শিক্ষার্থী জিপিএ ৫ পেয়েছেন।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষায় এবার এই কলেজ থেকে এক হাজার ৯৯ শিক্ষার্থী অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছেন এক হাজার ৪৭ জন। পাস করেছেন এক হাজার ৯৮ শিক্ষার্থী। একজন পরীক্ষার্থীর ফল স্থগিত রয়েছে।
এই কলেজ থেকে এবারও জিপিএ ৫-এর গড় ৯৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষা চলাকালে ব্যবহারিক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময় মৌমুত হাসান তনু নামে এক শিক্ষার্থী ট্রেনের ধাক্কায় মারা যান। তাঁর ফল স্থগিত রাখায় শতভাগ পাস থেকে বঞ্চিত হয়েছে কলেজটি।
কলেজের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এই কলেজ ২০১২ সাল থেকে টানা তিন বছর ঢাকা বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। গত ২০১৫ সাল থেকে সেরাদের তালিকা না হলেও ফলাফলে নিজেদের ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ণ রেখেছে। আজ বেলা ১১টায় ফল প্রকাশের খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা কলেজ প্রাঙ্গণে ছুটে আসেন। পরে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল কাদির মোল্লার উপস্থিতিতে ভালো ফলাফল করায় আল্লাহর প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে দোয়া করা হয়।
এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৬৭৩ জন অংশ নিয়ে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ৬৬৬ জন, ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে ১৬৬ জন অংশ নিয়ে ১৫৭ জন ও মানবিক শাখা থেকে ২৬০ জন অংশ নিয়ে ২২৪ জন জিপিএ ৫ পেয়েছেন।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহমুদুল হাসান রুমি বলেন, ‘আমাদের কলেজের এ সাফল্য শিক্ষকদের মেধা ও শিক্ষার্থীদের মেধার সেতু বন্ধনের ফসল। এই কলেজের এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষক সকাল থেকে শুরু করে মধ্য রাত পর্যন্ত তাঁদের নিরন্তর চেষ্টায় আজকের এই ধারাবাহিক সাফল্য। প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন দিকনির্দেশক শিক্ষক রয়েছেন। ওই শিক্ষক শুধু লেখাপড়া নয়, খেলাধুলা, স্বাস্থ্য, বিনোদন থেকে শুরু করে সব ধরনের চাহিদা পূরণে সবসময় শ্রম দিয়ে আসছেন।’
প্রতিষ্ঠানটি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠার পর ২০০৮ সালে প্রথম ফলাফলে পাসের হার ৯৯%, ২০০৯ সালে শতভাগ পাসসহ ঢাকা বোর্ডে পঞ্চম এবং সমগ্র বাংলাদেশে ষষ্ঠ, ২০১০ সালে শতভাগ পাসসহ ঢাকা বোর্ডে চতুর্থ, ২০১১ সালে ঢাকা বোর্ডে সপ্তম, ২০১২, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে ঢাকা বোর্ড তথা সমগ্র বাংলাদেশে শতভাগ পাসসহ দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। পরবর্তী সময়ে শিক্ষা বোর্ড থেকে সেরাদের তালিকা প্রকাশ বন্ধ হলেও সব ক্যাটাগরিতে ২০১৫, ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯, ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালেও দেশসেরা ফলাফলের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে।