থানাকে মানুষের ভরসাস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই : ডিএমপি কমিশনার
মানুষ পুলিশের সেবা পেতে প্রথমে থানায় আসে। তাই আমরা থানাকে মানুষের সেবা প্রাপ্তির প্রথম ভরসাস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান। আজ মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে রাজারবাগ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
হাবিবুর রহমান বলেন, জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে থানায় আসা সেবা প্রার্থীদের দ্রুততম সময়ে সেবা প্রদান করতে হবে। ডিএমপি জনসেবায় কতটা আন্তরিক তা দ্রুততম সময়ে সেবা প্রদানের মাধ্যমে নগরবাসীকে বুঝাতে হবে।
রাষ্ট্র পুলিশকে জনগণের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পেশাদারিত্ব ও কাঙ্ক্ষিত সেবা দিয়ে এ দায়িত্বের বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে হবে। পুলিশি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থাকে আরও উন্নত ও বেগবান করতে হবে।
ডিএমপির প্রত্যেক সদস্যকে শতভাগ নিয়ম মেনে চলার আদেশ দিয়ে হাবিবুর রহমান বলেন, জনগণের সঙ্গে ভদ্র আচরণ করতে হবে। মহানগরবাসীর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের দিন-রাত পরিশ্রম করে দায়িত্ব পালন করতে হয়। অনেক সময় ধৈর্যচ্যুতি হতে পারে, তারপরও ধৈর্য ধরে জনগণকে সেবা দিয়ে যেতে হবে। কেউ অপরাধ করলে তার ব্যক্তিগত দায় ডিএমপি নেবে না। আমরা কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করব না। পেশাদারিত্বের সঙ্গে ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে অন্যের খারাপ ব্যবহারের জবাব দেব।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, যানজট নিরসনে ট্রাফিক ব্যবস্থার ওপর বিশেষ নজর দিতে হবে। ট্রাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নে ইতোমধ্যে ট্রাফিক বিভাগের অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ট্রাফিকের সিনিয়র অফিসারদের রাস্তায় থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। পরিস্থিতি যেমনই হোক, সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সব সময় কাজ করতে হবে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল, চুরি-ছিনতাই মামলা, মামলার তদন্ত, চোরাই গাড়ি উদ্ধার, মাদক উদ্ধার ও মূলতবি মামলা নিস্পত্তির ক্ষেত্রে আরও গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। এ ছাড়া মাদকাসক্ত ব্যক্তি ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার কথাও জানান তিনি।
সভায় উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তাদের ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমরা সবাই একে অপরকে সহযোগিতা করে ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করব। এ ব্যাপারে উপস্থিত সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।