ব্লগার নাজিমুদ্দিন হত্যায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ১৮ জানুয়ারি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের তারিখ ফের পিছিয়েছে। আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য থাকলেও কারাগারে থাকা আসামিদের আদালতে হাজির করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ১৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান আজ এই আদেশ দেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট গোলাম সরোয়ার জাকির বিষয়টি এনটিভি অনলাইনকে নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলায় আসামিদের মধ্যে আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া অন্য চার আসামি রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল ওরফে রফিক ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ কারাগারে আটক রয়েছেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ১৭ জানুয়ারি মেজর জিয়াসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত। একইসঙ্গে পলাতক পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পলাতক পাঁচজনের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত।
২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেণ্ডারিয়ার মেস বাসায় ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করে ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে। এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন।
পরবর্তীতে, ২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।