শান্তকে হারিয়ে চতুর্থ দিন শুরু বাংলাদেশের
সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে হতাশ করেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় ইনিংসে ভুলের মাশুল দিলেন অসাধারণ এক সেঞ্চুরিতে। অধিনায়কের শতরানে তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ পায় ২০৫ রানের লিড। তিন উইকেটে ২১২ রান নিয়ে আজ চতুর্থ তিন শুরু করে বাংলাদেশ। তবে, দিনের শুরুতেই আজ শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) শান্তর উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
দিনের দ্বিতীয় ওভারেই শান্তকে ফেরান নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টিম সাউদি। উইকেটের পেছনে টম ব্লান্ডেলের ক্যাচ হয়ে ১০৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। অধিনায়ক ফিরে গেলেও শাহাদাত হোসেন দিপুকে নিয়ে বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম। অর্ধশতক পার করে ক্রিজে আছেন তিনি। তবে, ১৮ রান করে ইশ সোধির বলে লেগ বিফোর হন দিপু। মুশফিককে এখন সঙ্গ দিচ্ছেন মিরাজ।
দিনের তৃতীয় সেশনে এসে গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) শতকের দেখা পেয়ে যান শান্ত। তার শতকে চড়ে তিন উইকেটে ২১২ রানে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে তিন অঙ্ক ছুঁতে শান্ত খেলেন ১৯২ বল। হাঁকান ৯টি বাউন্ডারি। অধিনায়কত্বের অভিষেকেই সেঞ্চুরি করা প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার শান্ত।
যদিও, দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার জাকির হাসান ও মাহমুদুল হাসান জয়। প্রথম উইকেট হারায় ২৩ রানে। ওপেনার জাকির হাসানকে লেগ বিফোর করেন আজাজ প্যাটেল। ২৬ রানের সময় টিম সাউদির ডেলিভারিতে স্ট্রেইট শট খেলেন শান্ত। নিচু হয়ে সাউদি বল আটকাতে চেয়েছিলেন। হাতে আটকেনি সেটি। তবে, শাপেবর হলো কিউইদের জন্য। বল মিস করে আঘাত হানল নন-স্ট্রাইকিং স্ট্যাম্পে। ডেলিভারির সময় ক্রিজ ছেড়ে বের হয়েছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। পেছন ফিরে দাগে ব্যাট ছোঁয়ানোর আগেই ভাঙে স্ট্যাম্প। অনাকাঙ্ক্ষিত রানআউটের শিকার হন জয়।
সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মমিনুল হক। ৯০ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে কক্ষপথে ফেরান তারা। ৪০ রান করে রানআউটে কাটা পড়েন মমিনুল। এরপর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে শেষ সেশনের বাকি সময় নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দেন শান্ত। দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৯৬ রানের জুটি বাংলাদেশকে এনে দেয় লিড।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩১০ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমে ১০১.৪ ওভারে ৩১৭ রান করে নিউজিল্যান্ড। ইনিংসে লিড পায় মাত্র সাত রানের।