রাজধানীতে গৃহকর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু
রাজধানীর হাতিরপুলে মোতালেব প্লাজার নবম তলার একটি ফ্ল্যাটের গৃহকর্মী নাজমা আক্তার (১৬) নামে এক কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই ভবনের পাশের মসজিদের পঞ্চম তলার ছাদ থেকে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। আজ শনিবার (২ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘শুক্রবার দিনগত রাতে হাতিরপুল এলাকা থেকে ওই গৃহকর্মীকে রক্তাক্ত অবস্থায় এনে হাসপাতালে ভর্তি করেন গৃহকর্ত্রী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে সে মারা যায়।’
গৃহকর্ত্রীর বরাত দিয়ে বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘গৃহকর্ত্রী আমার কাছে দাবি করেছেন, ভবন থেকে নিচে পড়ে গিয়েছিল ওই গৃহকর্মী। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনাটি শাহবাগ থানার পুলিশ তদন্ত করছে।’
গৃহকর্ত্রী খুরশীদা জামান সংবাদমাধ্যমে দাবি করেন, তারা হাতিরপুল মোতালেব প্লাজার নবম তলায় থাকেন। গত দেড় মাস ধরে তাদের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করে আসছিল নাজমা। শুক্রবার রাতে নাজমা তার মায়ের অসুস্থতার কথা বলে তাকে রাতেই গ্রামে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। তাকে এটি সম্ভব নয় বলে জানানো হয়। এরপর রাত ১০টার দিকে একইসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করেন তারা। এর কিছুক্ষণ পর নাজমাকে আর বাসায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন দেখেন তাদের বাসার মেইন দরজা খোলা। এতে তাদের সন্দেহ হলে তিনি দৌড়ে বাসার নিচে যান। তবে তাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজি করার একপর্যায়ে জানতে পারেন, পাশের মসজিদের পঞ্চম তলার ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে নাজমা।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মোনায়েম বলেন, ‘রাতে বাড়ি যাওয়ার বায়না ধরে ওই গৃহকর্মী। না যেতে দিলে নবম তলা থেকে কাপড় দিয়ে গ্রিলের সঙ্গে বেঁধে নিচে নামার সময় ছিঁড়ে পাশের মসজিদের পাঁচতলার ছাদে পড়ে যায়। সেখান থেকে রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোরে মারা যায়। তবে বিষয়টি আরও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’