বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ
বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারির বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। ৮৫তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষ্যে এই কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। তিনি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও প্যারেডের অভিবাদন গ্রহণ করেন। পরে কৃতি ক্যাডেটদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।
সেনাবাহিনী প্রধান প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটদের উদ্দেশে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতার দিকনির্দেশনামূলক ঐতিহাসিক ভাষণের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, আজ এই শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে তোমাদের ওপর ন্যস্ত হলো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব। তিনি জাতির পিতার হাতে গড়া এই সেনাবাহিনীকে একটি প্রশিক্ষিত, সুশৃংখল এবং আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।’
৮৫তম বিএমএর দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সের মোট ২৫০ জন অফিসার ক্যাডেট এবং এক বছরের সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে ৫৮তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সের তিনজন অফিসার ক্যাডেট এবং সাতজন ট্রেইনি অফিসার কমিশন লাভ করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের মধ্যে ২২৮ জন পুরুষ ও ৩১ জন মহিলা অফিসার রয়েছেন। এ ছাড়া কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের মধ্যে একজন শ্রীলঙ্কান অফিসার রয়েছেন, যিনি নিজ সেনাবাহিনীতে যোগদান করবেন।
সর্ব বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ব্যাটালিয়ন সিনিয়র আন্ডার অফিসার এ এম সানজিদ ৮৫তম বিএমএ দীর্ঘ মেয়াদী কোর্সে সেরা চৌকস ক্যাডেট বিবেচিত হন এবং অসামান্য গৌরবমণ্ডিত ‘সোর্ড অব অনার’ অর্জন করেন। এ ছাড়া কোম্পানি সিনিয়র আন্ডার অফিসার রিয়াদ হোসেন সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন এবং অফিসার ক্যাডেট হারসা নিমেসা তিলান্হা হিথারচ্ছি বেস্ট ওভারসিজ ক্যাডেট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।
পরে ক্যাডেটরা আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ করেন এবং বাবা-মা ও অভিভাবকরা নবীন অফিসারদের র্যাংক-ব্যাজ পরিয়ে দেন।