কারাগারে ভুক্তভোগীর সঙ্গে বিয়ে, আসামিকে মুক্তির নির্দেশ
আপিল বিভাগের আদেশে ও দুই পরিবারের সম্মতিতে লালমনিরহাটের কারাগারে বিয়ে হয়েছে ধর্ষণের শিকার নাবালিকা ও আসামির। বিষয়টি জানার পর কারাগারে থাকা আসামির জামিন বহাল রেখে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ আজ সোমবার (৪ ডিসেম্বর) এই আদেশ দেন।
ধর্ষণ মামলার ওই আসামি লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার বাসিন্দা।
আদালতে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. ওজি উল্লাহ বলেন, ‘লালমনিরহাটের কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভুক্তভোগীর সঙ্গে আসামির বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। শুনানি শেষে আদালত আসামিকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখে মুক্তির নির্দেশ দেন।’
এর আগে, গত ২০ নভেম্বর লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় ধর্ষণের শিকার হওয়া ১৭ বছরের নাবালিকার সঙ্গে একই উপজেলার আসামির বিয়ের আয়োজন করতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। ১৫ দিনের মধ্যে লালমনিরহাটের কারা কর্তৃপক্ষকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। দুই পরিবারের অভিভাবকের সম্মতি ও মতামত নিয়ে এই আদেশ দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
সেদিন আইনজীবী মো. ওজি উল্লাহ বলেছিলেন, ২০২২ সালের ১৩ জুলাই লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার নাবালিকাকে অপহরণ করে একই এলাকার এই আসামি। পরে ২০২৩ সালের ৮ এপ্রিল অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে আসামির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সেদিনেই অপহরণের শিকার নাবালিকাকে উদ্ধার ও আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধারের পর মেডিকেল পরীক্ষায় ওই নাবালিকা গর্ভবতী বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে, গর্ভের সন্তান পরে নষ্ট হয়ে যায়।
মামলায় গত জুন মাসে আসামিকে জামিন দেন হাইকোর্ট বেঞ্চ। এই জামিন আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে। আবেদনের শুনানি নিয়ে আসামির জামিন স্থগিত করে বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। এরমধ্যে জামিন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করে আসামিপক্ষও।