আওয়ামী লীগ খুবই দুর্বল অবস্থায় উপনীত হয়েছে : এলডিপি
সব দিক থেকে আওয়ামী লীগ খুবই দুর্বল অবস্থায় উপনীত হয়েছে বলে দাবি করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতারা।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড় এলাকায় অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে এ কথা বলেন এলডিপি নেতারা।
এলডিপি নেতারা বলেন, ‘স্বৈরশাসককে বিদায় করতে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার বিকল্প নেই। সবদিক থেকে আওয়ামী লীগ খুবই দুর্বল অবস্থায় উপনীত হয়েছে। এ সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। স্বৈরশাসককে বিদায় দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সক্রিয় ও সমন্বিত ভূমিকা পালন করতে হবে।’
এলডিপি নেতারা আরও বলেন, ‘জনগণের ওপর জুলুম নির্যাতন করে কেউ কখনো টিকে থাকতে পারেনি। শেখ হাসিনাও পারবে না। দেশ এখন একটি সময়সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। দীর্ঘ সময় ধরে জুলুমের ওপর দণ্ডায়মান স্বৈরশাসনের অবসানের সময় নিকটবর্তী। বাংলাদেশের নিপীড়িত অধিকারবঞ্চিত মানুষের মুক্তির সূর্যোদয় সন্নিকটে। দীর্ঘ জুলুমের অবসান হবেই হবেই, ইনশাআল্লাহ।’
এলডিপির নেতারা বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারকে জনগণ চায় না। তারা জনমতের বিপরীতে জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। তাদের প্রতি জনগণের অনাস্থা এখন আরও তীব্রতর। জনগণ ভোটের অধিকার চায়, নাগরিক অধিকার চায় ও জুলুমের অবসান চায়।’
পরে মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে ফকিরাপুল, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় হয়ে বিজয়নগরে আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে এসে শেষ হয়।
এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামূল বশিরের নেতৃত্বে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আওরঙ্গজেব বেলাল, অ্যাডভোকেট এস এম মোরশেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহে আলম চৌধুরী, উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব বিল্লাল হোসেন মিয়াজি, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম, প্রচার সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিলু, প্রকাশনা সম্পাদক মেহেদী হাসান মাহবুব, সাংগঠনিক সহসম্পাদক আলী আজগর বাবু, দপ্তর সহসম্পাদক ওমর ফারুক সুমন, ঢাকা মহানগর উত্তর এলডিপির সাধারণ সম্পাদক অবাক হোসেন রনি, মহানগর পূর্বের সভাপতি সোলায়মান, দক্ষিণের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি আমান সোবহান, গণতান্ত্রিক আইনজীবী ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট নূরে আলম, গণতান্ত্রিক শ্রমিক দলের সভাপতি এফ এম এ আল মামুন, গণতান্ত্রিক স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি খালিদ বিন জসিম, গণতান্ত্রিক ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক কাজী কামরুল হাসান।