নির্বাচনে যারা অংশ নিচ্ছে তারা শোষক ও লুটেরা : এবি পার্টি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ৭ জানুয়ারি। ইতোমধ্যে যাছাই-বাছাই শেষে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) চলছে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি। এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ারা শোষক ও লুটেরা বলে দাবি করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। পাশাপাশি সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়েছে তারা।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিজয়নগরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে এসব কথা বলেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা। সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচন বাতিলের দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
আজ বেলা ৩টার দিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে তা কাকরাইল, বিজয়নগর, নয়াপল্টন, সেগুনবাগিচা, পুরানা পল্টনসহ রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে এটি শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এই অবৈধ জালিম সরকারের পদত্যাগের দাবিতে এবি পার্টি লাগাতার কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। এখন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা রাজাকার-আলবদরদের মতোই বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ দিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে। পুলিশ-বিজিবি আজ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। আওয়ামী সিন্ডিকেট বাহিনী একদিনে পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে জনমনে হাহাকার তৈরি করেছে।’ এবি পার্টির এই নেতা বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হতে পারে না, এটা বাংলাদেশের জনগণ হতে দেবে না।’
দলটির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘এই সাজানো নির্বাচন দিনের পর দিন হাসি তামাশার রঙ্গে পরিণত হচ্ছে। এই নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা সবাই দুর্নীতিবাজ ও ডাকাত। দেশের মানুষ চরম আর্থিক সংকটে থাকলেও গত ১৫ বছরে এরা সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।’
মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির জ্যেষ্ঠ সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবি যুবপার্টির আহ্বায়ক এ বি এম খালিদ হাসান, জ্যেষ্ঠ সহকারী সদস্য সচিব আব্দুল বাসেত মারজান, সহকারী সদস্য সচিব শাহ্ আব্দুর রহমান, যুবপার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব হাদিউজ্জামান খোকন, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, যুগ্ম সদস্য সচিব সফিউল বাসার, কেফায়েত হোসেন তানভীর প্রমুখ।