সহকারী কমিশনারের নাম ভাঙিয়ে কাউন্সিলরের চাঁদাবাজি!
দীর্ঘদিন ধরে মোংলায় উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) নাম ভাঙিয়ে ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হবে এমন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে একটি প্রতারক চক্র। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছেন সহকারী কমিশনারের ।
তবে আলোচিত বিষয় হলো চাঁদা দাবির ঘটনায় মোংলা পোর্ট পৌর সভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের নাম আসায় শহরজুড়ে নানা গুঞ্জনসহ আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
গত ২৬ নভেম্বর মোংলা পৌর বাজারের মুদি দোকান ব্যবসায়ী মো. মনিরুজ্জামানের কাছে এসিল্যান্ড পরিচয়ে তার দোকানে অভিযান চালিয়ে ছয় থেকে সাত লাখ টাকা জরিমানা করা হবে, এমন ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই ব্যবসায়ীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন তিনি। এ ঘটনায় ভুয়া এসিল্যান্ড সাজা পৌর সভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. বাহাদুর মিয়ার বিরুদ্ধে ২৭ নভেম্বর পৌর মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মেসার্স জালাল স্টোরের মালিক মুদি ব্যবসায়ী মো. মনিরুজ্জামান। গত ২৬ নভেম্বরের ঘটনায় ২৭ নভেম্বর পৌর মেয়রের কাছে তিনি লিখিত অভিযোগ দেন। এ বিষয়টি দীর্ঘদিন ধামাচাপা থাকলেও পৌরসভা ও ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে আজ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ফাস হয়।
এদিকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন স্বীকার করে পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত সাপেক্ষে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে কাউন্সিলর মো. বাহাদুর মিয়ার বিরুদ্ধে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাবিবুর রহমান জানান, তাঁর নাম ভাঙিয়ে কিছুদিন ধরে একটি বড় প্রতারক চক্র বিভিন্ন জায়গা ফোন দিচ্ছে এবং টাকা চাইছে। এসব বিষয়ে তিনি থানায় জিডি করেছেন। এ ঘটনায় যে কেউ জড়িত থাকুক না কেন তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অভিযুক্ত পৌর কাউন্সিলর মো. বাহাদুর মিয়ার কাছে ফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তি তা অস্বীকার করে যে ব্যবসায়ী তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ দিয়েছেন তাঁকে গালাগাল করে ফোন কেটে দেন।