কুয়েতের আমিরের মৃত্যু, বাংলাদেশে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
কুয়েতের আমির শেখ নওয়াফ আল আহমাদ আল জাবের আল সাবাহ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। দেশটির স্থানীয় সময় আজ শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তার মৃত্যুতে সেদেশে ৪০ দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। খবর গালফ নিউজ ও আল-জাজিরার। এদিকে, বাসস জানিয়েছে, বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু শেখ নাওয়াফের ইন্তেকালে আগামী ১৮ ডিসেম্বর (সোমবার) রাষ্ট্রীয়ভাবে একদিনের শোক পালন করা হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
বাসস আরও বলছে, ১৮ ডিসেম্বর সোমবার বাংলাদেশের সকল সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
কুয়েতের আমিরের রুহের মাগফিরাতের জন্য আগামী সোমবার বাংলাদেশের সকল মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তার আত্মার শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।
গালফ নিউজেও প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত নভেম্বরে কুয়েতের আমিরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।
দেশের আমিরের মৃত্যুতে কুয়েত সরকার ৪০ দিনের শোক ঘোষণা করেছে। আর তিন দিন সরকারি সব কার্যালয় বন্ধ থাকবে, যা শুরু হবে আজ থেকে।
২০২০ সালে কুয়েতের প্রয়াত আমির শেখ সাবাহ আল আহমাদ আল সাবাহ মারা যান। এরপরেই আমির হিসেবে দায়িত্ব নেন শেখ নওয়াফ আল আহমাদ আল জাবের আল সাবাহ।
উপসাগরীয় অঞ্চলের সবচেয়ে সক্রিয় ও শক্তিশালী সংসদ কুয়েতে বলে জানিয়েছে গালফ নিউজ। কিন্তু, নির্বাচিত আইনপ্রণেতা ও মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রীদের মধ্যে মতপার্থক্য দেশটির উন্নয়নের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করেছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে আসছে বিনিয়োগকারীরা।
১৯৩৭ সালে শেখ নওয়াফ আল আহমাদ আল জাবের আল সাবাহর জন্ম। তিনি কুয়েতের সাবেক আমির শেখ আহমাদ আল জাবের আল সাবাহর পঞ্চম সন্তান। ১৯২১ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত কুয়েতকে শাসন করেছিলেন শেখ আহমাদ আল জাবের আল সাবাহ।
২৫ বছর বয়সে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন শেখ নওয়াফ আল আহমাদ আল জাবের আল সাবাহ। হাওয়াইলি প্রদেশের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেন। ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত প্রদেশটির গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন শেখ নওয়াফ আল আহমাদ আল জাবের আল সাবাহ।