রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতার চেষ্টা, আরসার চার সদস্য গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের উখিয়া জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে র্যাবের সাথে মিয়ানমারের রাখাইন স্টেটের সন্ত্রাসী গ্রুপ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি আরসার সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি হয়েছে। সোমবার রাতভর অভিযান শেষে এক কমান্ডারসহ চার আরসা সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫। এসময় আরসার আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তলসহ চারটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ কার্তুজ ও বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করেছে।
র্যাব জানায়, আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যস্ত থাকবে এই সুযোগে আরসার সন্ত্রাসীরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বড় ধরনের জমায়েত এবং নাশকতা সৃষ্টির জন্য পরিকল্পনা করছিল, এই সংবাদ পেয়ে র্যাব অভিযান চালায়। গতকাল সোমবার মধ্যরাতে র্যাব এই অভিযান চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে র্যাব-১৫ এর কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৫ এর একাধিক দল গতকাল সোমবার রাতে উখিয়া উপজেলার জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযানে নামে। এসময় র্যাবের দল আরসা সন্ত্রাসীদের একটি আস্তানা ঘিরে ফেলে। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা র্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এসময় র্যাব সদস্যরা পাল্টা ফাঁকা গুলি ছুড়লে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় আরসার এক কমান্ডারসহ চারজন সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে। পরে র্যাব সদস্যরা আরসার আস্তানায় তল্লাশি চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তলসহ চারটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ কার্তুজ ও গুলির খোসা উদ্ধার করে।
গ্রেপ্তার আরসা কমান্ডারের নাম মো. ইউনুস প্রকাশ মাস্টার ইউনুস। সে আরসার হিসাব শাখার প্রধান বলে জানিয়েছেন র্যাবের এই কর্মকর্তা। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্যাম্পে বড় ধরনের অস্থিরতা ও নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা ঐ আস্তানায় জমায়েত হয়েছিল বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।